আমাদের ভারত, ২৪ এপ্রিল: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঐতিহাসিক রায়। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশে মাথায় হাত পড়েছেন ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া যোগ্য শিক্ষকদের। যোগ্যতা প্রমাণ দিয়ে পাওয়া চাকরি চলে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে যোগ্য চাকরি হারাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের হাতিয়ার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা যোগ্যদের পাশে দাঁড়াবো তাদের আইনি সাহায্য করবো।
সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের আজ বলেন, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ কোর্ট বলেছিল আপনারা আটা আর ভুসি আলাদা করুন। প্রচুর মানুষ আছে ওর মধ্যে, যারা সত্যিকারের যোগ্য। ভুসি হচ্ছে পাঁচ হাজার মাত্র, যারা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। ভুসি আটা আলাদা না করা বেচারাদের ভুগতে হচ্ছে। পরিবারগুলোকে ভুগতে হচ্ছে। যাদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে আমরা তাদের পাশে আছি। প্রয়োজনে তাদের আইনি সাহায্য করবো।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চালাকির রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের পাশে থাকবেন, সে কথা বলছেন না। উনি বলছেন আমি সবার পাশে থাকবো। ওটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের শিখন্ডী করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু কি পারতেন না যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের নামের তালিকা আলাদা করে আদালতের হাতে তুলে দিতে? তাহলেই তো যোগ্যদের কিছু হতো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি চালাকি করলেন, উনি রাজনীতি করলেন। উনি যে পাঁচ হাজার জনের কাছ থেকে ওনার নেতারা পয়সা নিয়ে চাকরি দিয়েছে তাদের বাঁচানোর জন্য কুড়ি হাজার যোগ্য শিক্ষককে ঢাল করলেন।
২০১৬- এর এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে মোট ১১ রকম ভাবে। তারপর সেই দুর্নীতি ঢাকতে সুপার নিউমেরিক পদ তৈরি করেছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। আদালত মন্ত্রীসভার সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।