আমাদের ভারত, ১৭ সেপ্টেম্বর: বাংলায় যে আন্দোলন চলছে তার কাছে এবং বাংলার মানুষের কাছে হেরে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক প্রসঙ্গে এমনটাই বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতে গতকালের বৈঠকে হার হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর কথায়, রাজার বাড়ির ভোজ, না আঁচানো পর্যন্ত বিশ্বাস নেই। রাজ্য সরকারে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
দীর্ঘ ৩৬ দিন পর সোমবার রাতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ আলোচনা সময় পুলিশ, স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের বেশ কয়েকটি রদবদল করবেন বলে কথা দেন মুখ্যমন্ত্রী। নগরপাল বিনীত গোয়েল, ডি এম ই ও, ডি এইচ এস- কে সরানোর দাবি মেনে নেয় রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, সারা রাজ্য তথা সারা দেশে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তার চাপে পড়ে ও জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদের চাপে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আন্দোলন বাংলার ১০ কোটি মানুষের আন্দোলন।
তবে রাজ্য সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলি যতক্ষণ না বাস্তবায়িত হচ্ছে ততক্ষণ মানুষ সরকারকে বিশ্বাস করতে পারছে না।
কিছু দাবি মেনে নিলেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে বলে মত সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেন, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পরে এটা স্পষ্ট আরজিকরের ঘটনার তথ্য ও পাঠের পেছনে নগরপাল বিনীত গোয়েলের হাত ছিল। আজ নগরপালকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরিয়ে দিলেন শুধুমাত্র তাকে আড়াল করার জন্য । তাকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু বিনীত গোয়েলকে বাঁচানো যাবে না। তাকে জেলে যেতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলার মানুষের কাছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হেরে গেলেন।
তবে শুধু এরাই নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পদত্যাগ করতে হবে। তিনি নিজেই বলেছিলেন যে মানুষের স্বার্থে তিনি পদত্যাগ করতে রাজি। সুকান্ত মজুমদারের কথায়, এই ব্যবস্থাটা পুরোপুরি ঘুন ধরে গিয়েছে। এই কয়েকজনকে সরিয়ে বলি কা বাখরা বানিয়ে তিনি বাঁচতে পারবেন না। কারণ বাংলার মানুষ আর বলি কা বাখরা নয়।