আমাদের ভারত, ১৭ সেপ্টেম্বর: অষ্টম শ্রেণির বইতে হিন্দুদের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। বইটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব বই না হলেও এই প্রকাশিত বইটি ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয়। আর সেই বইতেই ইচ্ছা করে হিন্দুদের ইতিহাস বিকৃতি করে বাংলাদেশের মতো মগজ ধোলাই- এর কাজ চলছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভার সাংসদ।
ওই বইয়টিতে মদনমোহন মালব্য, বীর সাভারকারকে অপমান করা হয়েছে বলে বলে দাবি বিজেপি নেতার। এমনকি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, হিন্দু মহাসভা, আর্য সমাজের মতো সংগঠনের দিকেও আঙুল তোলা হয়েছে বলে দাবি তার। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ১৫ দিনের মধ্যে বিকৃত ইতিহাস পরিবর্তন না হলে আইনি পথে এর বিরোধিতার দিকে এগোবেন তারা। প্রকাশককে সাবধানে থাকার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার অনুমোদিত নতুন সিলেবাস অনুযায়ী লেখা রায় ও মার্টিনের অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বইতে সাম্প্রদায়িকতা ও দেশভাগ নামক চ্যাপ্টারে বিকৃত ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে। সেখানে হিন্দুদের ইতিহাস সংস্কৃতিকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। অপমান করা হয়েছে পন্ডিত মদনমোহন মালব, বীর সাভারকারের মতো ব্যক্তিত্বদের। হিন্দু মহাসভা, আর্য সমাজ, আরএসএস- এর মতো সংগঠনকে অসম্মান করা হয়েছে।
একই সঙ্গে রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ বলেছেন, বাংলাদেশের মতো এখানেও মগজ ধোলাই শুরু হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে বিকৃত ইতিহাস পরিবর্তন না করলে এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।
বিজেপি নেতা বলেন, “এই বই পড়ে নতুন নতুন বিদ্যাসাগর তৈরি হবে। আমরা বলছি যে, এই বই এই কোম্পানির থেকে সাবধানে থাকুন। এসব কিন্তু আর এখানে চলবে না। একটা সময় চলত, সেদিন চলে গেছে। বামেরা মুছে গিয়েছে। কেউ বাচাবে না।” তিনি আরো বলেন, “এখন মানুষ যদি আবেগ তাড়িত হয়ে যায়? চারিদিকে প্রতিরোধ চলছে। এখন বাঙালি আবার জেগে উঠেছে। হিন্দু বাঙালির ঘুমও ভেঙেছে। ফলে কোথায় কী হয়ে যাবে, কোথায় গিয়ে ভাঙ্গচুর হবে আমাদের জানা নেই।”