কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জানুয়ারি: বন্যা প্রতিরোধে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরুর আগেই প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ। দাসপুর ২ ব্লকে চন্দ্রেশ্বর নদী খনন করতে দেওয়া হবে না, এই দাবিতে এলাকার মানুষ মিছিল ও মিটিং করলেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সিঙ্গুরের মতো জমি আন্দোলন করবেন তারা। এই উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে চন্দ্রেশ্বর নদী খনন প্রতিবাদী কমিটি।
ওই কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ বেরা বলেন, চন্দ্রেশ্বর খাল খনন করতে দেওয়া হবে না এবং জমি অধিগ্রহণও করতে দেওয়া হবে না। কারণ যদি এই কাজ হয় তাহলে ঘাটাল বাঁচাতে গিয়ে দাসপুরের ৮৪টি মৌজা বেশি জনমগ্ন হবে। দুই বা তিন ফসলি জমির ফসল নষ্ট হবে। কারণ দাসপুরে চাকুরিজীবীর সংখ্যা কম এবং শিল্প নেই। ওই এলাকার মানুষজন কৃষির উপর নির্ভরশীল। শুক্রবার বিকেলে দাসপুরের চাঁদপুরে পার্শ্ববর্তী এগারোটি গ্রামের মানুষজন সমবেত হন এবং মিছিল করেন। তারা সাংসদ দেবের নাম উল্লেখ করে বলেন, দেব এলেও তারা এই কাজ করতে দেবেন না।
এদিকে এই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আশিস হুদাইত বলেন, আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, দাসপুরের মানুষ সৃজনশীল। ছোট ছোট ত্যাগের মাধ্যমে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হলে ঘাটাল মহকুমায় বন্যা প্রতিরোধ হবে। তিনি বলেন, ইরিগেশন দপ্তরের বাস্তুকাররা এই পরিকল্পনা করেছেন এবং তারা দেখেশুনেই তা করেছেন।
এদিকে বরুনা সৎসঙ্গ হাই স্কুলের সিলভার জুবিলিতে আসা রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইঞাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, মাস্টার প্ল্যান হচ্ছে এবং হবে। উল্লেখ্য, ঘাটালের দীর্ঘদিনের সমস্যা বন্যা।
বন্যা প্রতিরোধ করার জন্য ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বহু চর্চিত একটি বিষয়। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্য সরকার নিজেদের অর্থে করবে। এই ঘোষণার পরে দেব ঘাটালে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে রাজি হন। মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে আছে বিভিন্ন নদী খাল সংস্কার সহ বিভিন্ন প্রকল্প। দাসপুরে এই প্রতিবাদ এবং প্রতিবাদী কমিটি তৈরি হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পের কাজ ওই এলাকায় করা যাবে কিনা।