আমাদের ভারত, ২৩ আগস্ট: আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছে রাজ্য। কিন্তু তার সাথেই উঠে এসেছে আরজিকরে ব্যাপক দুর্নীতি ইতিহাস। এবার আরজিকর হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্ত ভার আদালত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিল। ফলে আবারও হাইকোর্টে মুখ পুড়লো রাজ্য সরকারের। আর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের চাপ আরও বাড়লো।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ আরজিকরের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের ভার তুলে দিয়েছেন সিবিআই- এর হাতে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের জন্য যে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিল তাও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে সিটের হাতে থাকা যাবতীয় নথি হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে সিবিআই’কে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ তুলে আগেই সরব হয়েছিলেন কলেজের ডেপুটি সুপার আক্তার আলী। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি, মৃতদেহ ও বায়ো মেডিকেল বর্জ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। ছিল তোলাবাজির অভিযোগ।
প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, একাধিক সংস্থা তদন্ত করলে বিষয়টি জটিল হয়ে যাবে। তদন্ত শেষ হতে সময় লাগবে। তাই মূল ঘটনার সঙ্গে ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই করবে বলে জানিয়েছে আদালত।
আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করছিল সিবিআই। সেই মর্মে আজ পর্যন্ত মোট আটবার সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জেরা করেছে সিবিআই। তার পলিগ্রাফি টেস্ট হবে বলেও জানাগেছে। সন্দীপ বারবার বয়ান বদল করেছে বলে অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার। যদিও কলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গেল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।