আমাদের ভারত, ২২ আগস্ট: আর জি কর মেডিকেল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে একের পর এক ব্যারিকেট ভেঙ্গে আজ এগিয়ে গেছেন বিজেপি কর্মীরা। উল্টোডাঙার হাডকো মোড় থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি।
মিছিলে প্রথম সারিতেই ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল সহ একাধিক নেতৃত্ব। বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করা মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। আগে থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনীও মোতায়ন ছিল স্বাস্থ্য ভবনে যাওয়ার পথে। স্বাস্থ্য ভবনকে ঘিরে রেখেছিল কয়েকশো পুলিশ। মিছিল এগিয়ে যেতে থাকলে করুণাময়ীর আগে ইন্দিরা ভবনের সামনে ব্যারিকেট করে পুলিশ।
যদিও সেই ব্যারিকেট ভেঙ্গে এগিয়ে চলেন বিজেপি কর্মীরা। তবে শুভেন্দু অধিকারী ও সাংসদ শমিক ভট্টাচার্যকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।কিন্তু সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ এগিয়ে যান। শুভেন্দুকে আটক করাতে অনেক বিজেপি কর্মী পুলিশের ভ্যানের সামনে রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদ জানান। অনেকে পুলিশের বাসের উপরে উঠে প্রতিবাদ জানান। কিন্তু পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
এরপর অর্জুনকে প্রিজন ভ্যানে তুলতে গেলে বাধা পায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের। এরপর একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকে বিজেপির মিছিল। স্বাস্থ্য ভবনের গেটের কাছাকাছি পৌঁছে যায় মিছিল। সেখানে মহিলা কর্মীদের নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তবে বিশাল পুলিশ বাহিনী থাকায় স্বাস্থ্য ভবনের ভেতরে আর ঢোকা সম্ভব হয়নি।
সেখানেই কর্মী সামর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন সুকান্ত মজুমদার দিলীপ ঘোষ। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গোটা বাংলার মানুষ বলছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। আমরা চাঁদা তুলে দশ লক্ষ টাকা দেব। আমাদের বোনকে ফিরিয়ে দিন। লক্ষ্মীর ভান্ডার লাগবে না, আমাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দিন। লাঠি, গুলি খেলেও বিজেপি পিছিয়ে আসবে না। আমাদের বিরোধী দলনেতার ওপরে হামলা হয়েছে। আমাকে আমাদের কর্মীরা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। আগামীকাল প্রতিটি থানার সামনে কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাবে বিরোধী দল নেতার ওপরে হামলার প্রতিবাদে। বিজেপির আন্দোলন থামবে না। আমাদের ধর্ণা চলবে। আগামীতে বিজেপি আরো বড় আন্দোলন করবে।