আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৯ মার্চ: গাজোয়ারি করে তারাপীঠ মহাশ্মশানে তৈরি হচ্ছে নোংরা জল মজুত করার কংক্রিটের স্থায়ী নির্মাণ। প্রতিবাদে এবার লাগাতার আন্দোলনে নামলো বিজেপি। এবার তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করল বীরভূম জেলা বিজেপি। রবিবার থেকে তিন দিনের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা।
বিজেপির দাবি, তারাপীঠ মহাশ্মশানে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সমাধিস্থলের উপর ওই এলাকার বিভিন্ন হোটেল থেকে নির্গত দূষিত জল ফেলার কংক্রিটের স্থায়ী নির্মাণ করছে তারাপীঠ- রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মৃতদের সমাধির উপর এই নির্মাণ করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, বৈষ্ণব সম্প্রদায়কে হেয় করতে পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের নোংরা জল ফেলার কংক্রিটের স্থায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে। তার প্রতিবাদে এর আগেও তারাপীঠ মন্দির এলাকায় দু’দিন মিছিল করে প্রতিবাদ জানায় বীরভূম জেলা বিজেপি। বিজেপির বীরভূম জেলার কর্মী সমর্থকরা কোদাল নিয়ে নির্মাণের জন্য করা গর্ত মাটি দিয়ে ভরাট করে দিয়েছিল। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সেদিনই বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ ১৫ জন বিজেপি কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
তারাপীঠ মহাশ্মশানে হোটেলের নোংরা জল ফেলার স্থায়ী কংক্রিটের নির্মাণ বন্ধ করার দাবিতে এদিন থেকে আগামী তিনদিন তারাপীঠ রামপুরহাট- উন্নয়ন পর্ষদ দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করল বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, “উন্নয়নের নামে তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ বৈষ্ণবদের সমাধি ধ্বংস করছে। আমরা এর প্রতিবাদে শ্মশানে আন্দোলন করেছিলাম। পুলিশ আমাদের আটক করে। জেলা শাসক আমাদের কথা দিয়েছিলেন সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাজ করা হবে না। কিন্তু এখন দেখছি পুলিশ দাঁড় করিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আমাদের অবস্থান বিক্ষোভ। আমরা চাই নোংরা জল মজুতের জায়গা অন্যত্র করা হোক। পবিত্র শ্মশান ধ্বংস করা বন্ধ হোক।”
এবিষয়ে প্রশাসনের কেউ মুখ খুলতে চায়নি।