আমাদের ভারত, বর্ধমান, ১৩ ডিসেম্বর: বিজেপি কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরেই রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি নেতা কর্মীরা। বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা দাবি করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়েছে বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বর্ধমান শহরের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল সংলগ্ন বড়নীলপুর এলাকায় বিজেপির একটা দলীয় কার্যালয় আছে। সেই অফিসে গতকাল রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। রবিবার সকালের দিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই সেখানে ছুটে যায় বিজেপির যুব নেতারা। তারা ওই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ।
অন্যদিকে রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বর্ধমান শহরের জাতীয় সড়কের ধারে ১৩ নং ওয়ার্ডের বেচারহাট এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে কাঁচ সহ অন্যান্য জিনিস ভাঙ্গচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
বিজেপির জেলা যুব সভাপতি শুভম নিয়োগী বলেন, রাতের অন্ধকারে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদে আমরা সরব হয়েছি। তবে আমরা ফের নতুন করে এই অফিস গড়ে তুলবো। আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। তাই তারা ভয় পেয়ে এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফল।
অন্যদিকে তৃণমূল যুব জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদার জানান, বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন কি করে ধরেছে সেটা আমরা জানি না। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ যুক্ত নয়। বরং আমাদের দলীয় অফিসের দরজা জানালার কাঁচ ভেঙ্গে দিয়েছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ফ্লেক্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়। একটি শহিদবেদীর রড নষ্ট করা হয়। বিজেপির সঙ্গে মানুষ না থাকায় তারা বাইরে থেকে লোক এনে ঝামেলা করছে বিজেপি। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।