Shamik, BJP, মুসলিম মৌলবাদের কাছে আত্মসমর্পণের দিন শেষ হোক, কলকাতায় তাসলিমাকে ফেরানোর দাবি বিজেপি সাংসদের

আমাদের ভারত, ১৭ মার্চ: তিনি মৌলবাদের কঠোর সমালোচক, ইসলাম ধর্মের অন্ধকার দিকগুলি তুলে ধরে একের পর এক তাঁর সাহিত্যকর্ম। পর্দা প্রথার আড়ালে কট্টরপন্থীদের নগ্ন রূপ প্রকাশ্যে এনে ধর্মের গোড়ামীতে আঘাত করেছিল তাঁর কলম। এই সমস্ত কিছু মিলেমিশে তিনি এক বলিষ্ঠ দৃঢ় চরিত্র। আর তাতেই সাহিত্যের প্রতি এই একনিষ্ঠার জীবনে এসেছে অবমাননা, লাঞ্ছনা ও বিতর্কে ঝড়। তিনি তসলিমা নাসরিন। তাঁর লেখা বই নিয়ে বিতর্কের কারণেই ২০০৪ সালে তাঁর জন্মস্থান বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। আশ্রয় নিয়েছিলেন কলকাতায়। কিন্তু ১৮ বছর আগে আবারও তাঁর লেখা একটি বই ঘিরে চরম বিতর্কের মুখে পড়তে হয় এবং কলকাতা ছাড়তে হয় ২০০৭- এ। এবার তাঁকে কলকাতায় ফেরানোর আর্জি জানালেন বিজেপি সংসদ শমীক ভট্টাচার্য।

সোমবার সংসদে তাসলিমাকে কলকাতায় ফেরানোর জন্য সাওয়াল করেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে তাসলিমাকে ফেরানো দাবি করেছেন তিনি। তাসলিমাকে কলকাতা ছাড়া করার জন্য কংগ্রেসের দিকে আঙুল তোলেন শমীক ভট্টাচার্য।

সেই সময় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় থাকা বামেদেরও আক্রমণ শানান বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, বামেদের বন্ধুরা সেদিন চুপ ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস কেন কোন চেষ্টা করল না সেই প্রশ্ন তুলেছেন শমীকবাবু।

শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তসলিমা নাসরিনের কাছে কলকাতা প্রাণের শহর। তিনি কলকাতায় ফিরে আসতে চান। বাংলায় কথা বলতে চান। পশ্চিমবঙ্গ মানে কাজী নজরুলের শ্যামা মায়ের বর্ণনা। নারী আন্দোলনের পটভূমি।” এরপর তিনি আরো বলেন, ” ছদ্ম প্রগতিশীলতার আড়ালে মুসলিম মৌলবাদের কাছে চূড়ান্ত আত্মসমর্পণের দিন শেষ হোক। তাসলিমার প্রত্যাবর্তন হোক। বাংলার নারী আন্দোলনের নতুন সূর্যোদয় হোক।”

গত বছরে জুলাই মাসে ভারতে থাকা রেসিডেন্স পারমিট শেষ হয়ে যায় তাসলিমার। পরে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে তাসলিমা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দ্বারস্থ হন। সেই দাবি মেনে রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে ২০০৭ সালের পর আর কলকাতায় ফেরা হয়নি তসলিমার। তাঁর লেখা দ্বিখন্ডিত বই নিয়ে সেই সময় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তার জেরেই তসলিমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল সেই সময়।

সোমবার রাজ্যসভায় শমীক ভট্টাচার্যর বক্তব্যের পর তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পাল্টা পোস্ট করেছেন তাসলিমা নিজেও। তবে কলকাতায় ফেরা নিয়ে যে তিনি সংশয়ে, তা তাঁর লেখায় স্পষ্ট হয়েছে। তিনি পোস্টেও লিখেছেন জানি না কলকাতায় শেষ পর্যন্ত আমার ফেরা হবে কিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *