সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৬ এপ্রিল: ভোটকেন্দ্রে তৃণমূল গুন্ডাদের ঠেকানোর কৌশল বাতলে দিলেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকার। বুথ স্তরের কর্মীদের মালা পরিয়ে
সম্মানও জানালেন তিনি।পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে তৃণমূল গুন্ডা বাহিনী থেকে সতর্ক করলেন তিনি।
আজ সকালে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকার তালডাংরা বিধানসভার হাঁড়মাসড়া গ্রামে এক কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সেখানে উপস্থিত বুথ সভাপতি ও কর্মীদের নিয়ে প্রথম সতর্ক বাণী শুনিয়ে বলেন, তৃণমূল সিপিআইএমের চাইতেও ভয়ঙ্কর। কারণ সিপিআইএম ভোট কেন্দ্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রিগিং করতো। আর তৃণমূল সেই সবের ধার ধারে না। ওরা সন্ত্রাস করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে বুথের ভিতরে ছাপ্পা মারবে। সেইসব তৃণমূল গুন্ডাদের কিভাবে রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করে ঠান্ডা করতে হবে তার কিছু কৌশল বাতলে দেন। এতে যেমন বুথ স্তরে বা একেবারে নীচু তলার বিজেপি কর্মী তথা যারা সংগঠনের আসল কান্ডারী তারা উজ্জীবিত হলেন তেমনি বিজেপি সমর্থকরাও তাদের প্রার্থীর কাছ থেকে ভরসা পেলেন।
এরপর তিনি প্রত্যেক বুথ সভাপতিকে ফুলের মালা পরিয়ে সম্মান জানালেন। এটাই বিজেপির গঠন তন্ত্রের মূল ভিত্তি বলে ডা: সুভাষ সরকার বলেন, এরাই আমাদের শক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এদের জন্য গর্বিত। তিনি সরাসরি এইসব বুথ স্তরের কার্যকর্তাদের কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারতীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অসংখ্য রাজনৈতিক দল রয়েছে। অন্যান্য দলের নেতারা তাদের নীচুতলার কর্মীদের দূরে সরিয়ে দেন। কিন্তু বিজেপি দলের বিধান হল সকলকে বুকে টেনে নেওয়া। ডাঃ সুভাষ সরকার এদিন এইসব কর্মীদের মালা পরানোর পাশাপাশি কোলাকুলিও করেন।
বিজেপি প্রার্থীর এই ঘটনাকে নাটক বলে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, উনি ভোটের সময় আরও কত কি করবেন। একবারও আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে মাটিতে বসেছেন কিনা জিজ্ঞেস করুন তো ওনাকে। গত ৫ বছর তিনি মানুষের সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। যত নাটকই করুন এবার তার জবাব পাবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।