আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৬ মার্চ: পুরভোটের আগে বালুরঘাটে এস.এস.কের নিয়োগে লাগামহীন দুর্নীতি ও স্বজন পোষণের পর্দাফাস করলো বিজেপি। আরএসপি, সিপিএম ও তৃণমূল নেত্রীরাই পেয়েছে চাকরি, তথ্য তুলে ধরে জানালো বিজেপি।বামফ্রন্ট ও তৃণমূল নেতাদের গোপন যোগসাজশের অভিযোগ। বাম-তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে লিখিত অভিযোগ করে বর্তমান পুর প্রশাসককে নালিশ জানালো বালুরঘাট শহর মন্ডল বিজেপি। সংগঠনের অভিযোগ, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালে বালুরঘাট শহরের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে নিয়োগ নিয়ে চরম দুর্নীতি হয়েছে। তৎকালীন পুরসভার তৃণমূল বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজেন শীল এবং বিরোধী দলনেত্রী সুচেতা বিশ্বাস গোপনে একত্রিত ভাবে স্বজন পোষণ ও দুর্নীতি করে এই নিয়োগ সম্পন্ন করেছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। তথ্য জানার অধিকারের মাধ্যমে এমন চিত্র সামনে আসতেই আন্দোলনে নামে বিজেপি। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মেরিট লিস্ট প্রকাশের পাশাপাশি তদন্তের দাবি জানিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির নেতৃত্বরা।
বিজেপির দাবি সেই সময়ে দলের নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে তাদের আত্মীয় স্বজনদেরও চাকরি দেওয়া হয়েছে এস.এস.কে’তে । তথ্য অনুসারে ১৩ নং ওয়ার্ডের আর.এস.পি’র কাউন্সিলর শাশ্বতী গুহ মান্না নিজে নিয়েছেন ওই চাকরি। একই সাথে ওই ওয়ার্ডের
আরএসপির ব্রাঞ্চ কমিটির সদস্য সীমা সরকার সেনও পেয়েছেন চাকরি। অন্যদিকে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর দেবপ্রিয় দাসের স্ত্রী গৌরি সাহা দাস, ১৭ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন কুমার দত্তের স্ত্রী অলকারানী দত্ত, ২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যকরী সভানেত্রী গীতা ধর দেবও পেয়েছেন ওই চাকরি বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, ওই সময় নিয়োগে আরও অনেক নেতা নেত্রী ও তাদের পরিবারের লোকেদের নাম আছে, যাদের মেরিটের উপর ভিত্তি করে কাজ হয়নি।
বিজেপির টাউন মন্ডল সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, পুরসভা প্রশাসকের কাছে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। দ্রুত মেরিট লিস্ট প্রকাশ করতে না পারলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে রাজেন শীল জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছে।
বিরোধী দলনেত্রী সুচেতা বিশ্বাস বলেন, সমস্ত নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে। ভোটের আগে এমন অভিযোগ তুলে প্রচারের আলোতে আসতে চাইছে বিজেপি।