পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ধর্মা এলাকায় বিজেপির মন্ডল কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর। গভীর রাতে ভাঙ্গচুর করে জিনিসপত্র পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কার্যালয়ের ভিতরে থাকা ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয় এবং সব জিনিসপত্র ভেঙ্গে পাশের জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছেন বিজেপি নেতারা।
অন্যদিকে জেলার চন্দ্রকোনা এলাকায় তৃণমূলের বুথ কার্যালয়ে তৃণমূলের দলীয় পতাকা ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় তৃণমূল বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে তোলে।
মেদিনীপুর শহরের ধর্মা এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে টিনের দেওয়াল দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল বিজেপির মন্ডল কার্যালয়। এই কার্যালয়ে বিজেপির নেতা- কর্মীরা নিজেদের কাজকর্ম পরিচালনা করতো বলেই দাবি। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শংকর গুছাইত জানিয়েছেন, “কালী পুজোর রাতে কেউ বা কারা এই কার্যালয়ের টিনের দেওয়াল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে সমস্ত জিনিস ভাঙ্গচুর করে তছনছ করে দিয়েছে। চুরি গিয়েছে টিভি। ভেতরে থাকা ফ্লেক্স, কাগজপত্র ও জিনিসপত্র ভাঙ্গচুর করে পাশের একটি জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এই কাণ্ড তৃণমূলের লোকেরাই করে থাকবে। আমরা পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি।”
তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, ”বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলে রীতিমত জর্জরিত অবস্থা। নিজেদের গন্ডগোলের জেরে এই কান্ড করে থাকবে। তা না হলে ওই এলাকায় অনেক সিসিটিভি রয়েছে, ওরা প্রমাণ করে দিক যে আমাদের দলের কোনো কর্মী এই কাজে জড়িত। যদি প্রমাণ করতে পারে সেই কর্মীকে দল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবো আমরা। কিন্তু এটা তা নয়। বিজেপির একে অপরের বিরুদ্ধে যে কোন্দল, সেই গোষ্ঠী সমস্যা নিয়েই নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউন থানার অন্তর্গত রাইলা গ্রামে তৃণমূলের একটি বুথ কার্যালয়ের দলীয় পতাকা এবং ফেস্টুন ছিঁড়ে খুলে ফেলে দিয়েছে কেউ বা কারা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে বিজেপির লোকজন এই কাণ্ড করেছে। এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে বিজেপি।
যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে পুরো ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বদের দাবি, ”তৃণমূলের অর্ন্তদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী সমস্যায় নিজেদের কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর হয়েছে।” তবে সমস্ত ঘটনাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।