আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, সিউড়ি, ১৯ ফেব্রুয়ারি: বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না সাব ইনস্পেক্টর শেখ আশরাফুলকে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা নেওয়ার অভিযোগে আগেই তাঁকে ওসি থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে সরিয়ে দিয়েছিল বীরভূম জেলা পুলিশ। এবার মুর্শিদাবাদে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের মারধরের অভিযোগে তাকে সাসপেন্ড করল বীরভূম জেলা পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশ অফিসারদের মারধরের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর পরিবারের আরও ছয় সদস্যকে।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের লালাগোলা এলাকার বাসিন্দা শেখ আশরাফুল ২০১৯ ব্যাচের সাব ইনস্পেক্টর। তিনি এর আগে বীরভূমের কীর্ণাহার থানার অফিসার ইনচার্জ পদে আসীন ছিলেন। সেখানে থাকাকালীন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে তোলা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে জেলা পুলিশ গত বছরের ১১ নভেম্বর তাঁকে কীর্ণাহার থানা থেকে সরিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পদে বসায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের বিয়ের জন্য কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের লালবাগে নিজের বাড়ি গিয়েছিলেন শেখ আশরাফুল। বিয়েতে অনিয়ম হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে মা অসুস্থ হলে তাঁকে নিয়ে কৃষ্ণপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী, বাবা, ভাইরা। সেখানে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন আশরাফুল। ওই অবস্থাতেই হাসপাতালে ভাঙ্গচুর শুরু করেন তিনি। হেনস্থা করেন হাসপাতাল কর্মীদের। খবর পেয়ে লালগোলা থানার ওসি অতনু হালদার, সাব ইনস্পেক্টর কল্যাণ সিংহ রায় সহ দুই সিভিক ভলান্টিয়ার সেখানে গেলে, ওসি অতনু হালদারের গলা টিপে ধরেন। কল্যাণ সিংহ রায়ের আঙুল ভেঙ্গে দেন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাঁশ দিয়ে মারধর করেন। মুর্শিদাবাদ পুলিশ বিষয়টি বীরভূম জেলা পুলিশকে জানায়। এরপরেই তাকে সাসপেন্ড করে বীরভূম পুলিশ।
বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, শেখ আশরাফুলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।