সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৪ মে: রাত পোহালেই বাঁকুড়ায় ভোট গ্রহণ। বাঁকুড়া আসনটি এবার যুযুধান তৃণমূল-বিজেপির কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু। একদিকে গতবারের বিজয়ী কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার, অপরদিকে তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন সভাধিপতি তথা বর্তমানে দলের জেলা সভাপতি বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী।সুভাষবাবুকে এই আসনে দ্বিতীয় বার জিতিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর বিজেপি নেতৃত্ব।
অপরদিকে এই আসনটি ছিনিয়ে নিতে মরিয়া তৃণমূল।সুভাষবাবুকে জেতানোর লক্ষে বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার নির্বাচনী প্রচার করে গেছেন।অপরদিকে অরূপ চক্রবর্তীর জন্য একাধিকবার প্রচারে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, রচনা ব্যনার্জি, ইউসুফ পাঠান, বাহা অর্থাৎ রনিতা দাস সহ একাধিক সেলিব্রেটি।
ডাঃ সুভাষ সরকারের জনসভার দিনেই বাঁকুড়া শহরে রোড শো করেন মুখ্যমন্ত্রী। মোদীর সভায় উপচে পড়া ভিড়, অথচ মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রায় আশানুরূপ ভিড় নেই দেখে একটা বিরূপ প্রভাব পড়ে।মমতা রোড শো করেই দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন মোদীর সভামঞ্চেই পরদিন সভা করবেন। অবশ্য পাল্টা সভায় লোক সমাগম ভালোই হয়। জয় নিয়ে দুই প্রার্থীই একশো ভাগ নিশ্চিত। সুভাষবাবুর বক্তব্য জয় নিয়ে চিন্তা নেই, গতবারের চেয়ে দু’লক্ষ বেশি ভোটে জিতবো। অপরদিকে অরূপচক্রবর্তীর বক্তব্য, চার তারিখে দেখতে পাবেন অরূপ চক্রবর্তী দিল্লি যাচ্ছেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জাঁদরেল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে প্রায় এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার ভোটে পরাজিত করেন।সুভাষবাবু পেয়েছিলেন- ৬,৭৫,৩১৯ আর সুব্রত বাবু পান ৫,০০,২৮২।সেবার সিপিএমের পক্ষে ময়দানে নামেন অমিয় পাত্র।তিনি ভোট পান মাত্র ১,০০,২৮২। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেবার বামের ভোট রামে গিয়েছিল বলে এই ফল। এবার সিপিএম প্রার্থী তরুণ আইনজীবী নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত। বিজেপি এবং তৃণমূলের প্রার্থীদের তুলনায় সিপিএম বেশ নিষ্প্রভ। এখন দেখার সুভাষবাবু দ্বিতীয় বারের জন্য সাংসদ হন, না অরূপবাবুকে সামনে রেখে হৃত আসন পুনরুদ্ধার করে তৃনমূল। কিন্তু প্রশ্ন নানা দুর্নীতির ঘটনায় জেরবার তৃণমূল কি গতবারের এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজারের ব্যবধান ঘুঁচিয়ে শেষ হাসি হাসতে পারবে?