আমাদের ভারত, ৩ জুন: ওয়াজাহাদ খানের অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলিকে। শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে ওয়াজাহাত ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু এবার সেই ওয়াজাহাদ খানকে গ্রেফতার করতে অসম পুলিশ আসছে বাংলায়। তার বিরুদ্ধেও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। যদিও সূত্রের খবর সে পলাতক।
শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ওয়াজাহাদ খানের বিরুদ্ধেও এবার হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সে অসমের মা কামাক্ষার মন্দির নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে বলে অভিযোগ। তাই অসমে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে অসম পুলিশ বাংলায় আসবে বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
ওয়াজাহাদকে গ্রেপ্তারিতে অসম পুলিশকে সহায়তা করার জন্য বাংলা সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে হিমন্ত। কিন্তু ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরর পর থেকেই সে পলাতক বলে সূত্রে খবর।
গত ৩০ মে পুনের আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে হরিয়ানার গুরগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। শর্মিষ্ঠার একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিও নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সমালোচনা শুরু হতে ভিডিওটি ডিলিটও করে ২২ বছরের ওই তরুণী। ক্ষমাও চান। কিন্তু কলকাতা পুলিশ জানায় তার আগেই নাকি গার্ডেনরিচ থানায় শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগটি দায়ের করেছিলেন ওয়াজাহাদ খান।
এবার সেই ওয়াজাহাদ খানের বিরুদ্ধেও হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ উঠল। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে বক্তব্য রাখার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অসমের মা কামাক্ষার মন্দির নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে সেই রাজ্যের পানবাজার সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের হয়। ওই ব্যক্তিকে ধরতে বাংলায় অসমের পুলিশ আসবে বলে জানান হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। অসম পুলিশ বাংলায় যাবে। বাংলা সরকারকে আমরা আবেদন জানাব যে, অভিযুক্তকে যেন অসম পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে বাংলা সরকার কতটা সহযোগিতা করবে সেটা সময় বলবে।
শুধু অসমে ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তা নয়। এই রাজ্যেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সুত্রের খবর, ওয়াজাহাদ পলাতক। এখন দেখার শর্মিষ্ঠার মতো এই একই অভিযোগে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করে বাংলার পুলিশ।