পুরপ্রশাসক বোর্ড থেকে অর্পিতা, গৌতম ও শঙ্করের ডানা ছাঁটলো তৃণমূল, ভোটের আগে গুরুত্ব বাড়ল বিপ্লবের

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৭ ডিসেম্বর: দলের জেলা সভাপতির পর এবার সরকারী পদও হারালেন অর্পিতা ঘোষ।পুরপ্রশাসক বোর্ড থেকে সরানো হল তাঁকে, একই সঙ্গে সরানো হল শঙ্কর চক্রবর্তী, গৌতম দাস ও অমল সরকারকে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরসভায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে বড়সড় রদবদল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। জেলার সদর শহর বালুরঘাট পৌরসভা সহ মহকুমা শহর গঙ্গারামপুরেও বদলে ফেলা হলো বর্তমান নেতৃত্বদের নাম। তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষকে জেলায় তাঁর অন্তিম পদ থেকেও সরিয়ে কড়া বার্তা দিল রাজ্য নেতৃত্ব। একইসাথে গঙ্গারামপুর পুর প্রশাসক বোর্ড থেকে জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান অমল সরকারকে সরিয়ে তার জায়গায় প্রশান্ত মিত্রকে বসিয়ে নির্বাচনের আগে রাজ্য নেতৃত্ব কড়া বার্তা দিল বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।

দীর্ঘ চারবছর গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ সামলানো প্রশান্ত মিত্রকে পুনরায় চেয়ারে বসিয়ে ২০২১ এর নির্বাচনের আগে উন্নয়ন নিয়েও স্পষ্ট বার্তা দিল বলেই মনে করছে গঙ্গারামপুরবাসী। এদিকে জেলা তৃণমূলের দুই পদাধিকারী নেতা অর্থাৎ চেয়ারম্যান শঙ্কর চক্রবর্তী ও সভাপতি গৌতম দাস কে ভোটের আগে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে কি বার্তা দিতে চাইলো দল তা নিয়েও জেলায় শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, চলতি মাসের ২ তারিখে রাজ্যপালের জারি করা নোটিফিকেশন অনুযায়ী গঙ্গারামপুর পৌরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর থেকে অর্পিতা ঘোষ সহ চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার, গৌতম দাস এবং অশোক বর্ধনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রশান্ত মিত্র সহ আরও ছয়জনকে।

একই সাথে বালুরঘাট পৌরসভাতেও রদবদল করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। প্রাক্তন শিক্ষক হরিপদ সাহা সহ ১১ জনের নতুন কমিটি করা হয়েছে বালুরঘাট পৌরসভায়। যার মাধ্যমেও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলেও মনে করছে অনেকে।

যদিও বিষয়টি নিয়ে অমল সরকার জানিয়েছেন, পুরসভার রদবদলের একটা খবর শুনেছেন। তবে এব্যাপারে কোনো কাগজ হাতে পাননি। কাগজ দেখেই এব্যাপারে যাবতীয় কিছু বলা সম্ভব।
ঘটনা জানবার জন্য জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস কে একাধিকবার ফোন করা হলে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্র অবশ্য জানিয়েছেন, গুরুত্ব বুঝেই দল তার ভাইকে পুনরায় পুরসভার চেয়ারে বসিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *