সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১১ জানুয়ারি: বাড়িতে বসে যিনি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান করেন বলে এতদিন লোকে জানত, সেই তিনিই কি না ধরা পড়লেন জাল পাসপোর্ট-কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে৷ দিন কয়েক আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল বারাসতের ক্লার্ক সমীর দাস। তাকে জেরা করেই ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, গৃহশিক্ষকতার আড়ালেই জাল পাসপোর্টের কারবার করতেন দিবাকর বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তি৷
বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া থানা এলাকা থেকে দিবাকরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। রাতভর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। তার কথায় বেশকিছু অসঙ্গতি মেলায় শেষমেশ শুক্রবার সকালে দিবাকরকে গ্রেফতার করা হয়, এমনটাই জানা গিয়েছে বারাসত থানার পুলিশ সূত্রে।
পুলিশ অবশ্য এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ৷ তবে সূত্রের খবর, বাংলাদেশিদের নকল পরিচয়পত্র বানাতে জাল পাসপোর্ট-কাণ্ডে পুলিশের জালে ধৃত সমীরকে সাহায্য করতেন এই দিবাকর। ধৃতের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড মিলেছে৷ জাল পাসপোর্ট-কাণ্ডে বৃহস্পতিবারই বারাসত থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ধৃত সমীরের আরও দুই সহযোগী। এর মধ্যে কৌশিক মণ্ডলের একটি সাইবার ক্যাফে রয়েছে বারাসতের চাঁদুর মোড় এলাকায়। সেই সাইবার ক্যাফের আড়ালেই ধৃত যুবক বাংলাদেশি নাগরিকদের হয়ে নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে, চন্দন চক্রবর্তী নামে ধৃত মধ্যমগ্রামের আরও এক যুবক লোন ডিপার্টমেন্টে কাজের আড়ালে ভুয়ো পাসপোর্টের কারবার ফেঁদে বসেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাদের দু’জন ও সমীরকে একসঙ্গে জেরা করেই পুলিশ হদিস পায় দিবাকরের।