সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১১ জানুয়ারি: ভুয়ো পরিচয় পত্র তৈরি করে দিল্লিতে বসবাস করতেন। দেশে ফেরার পথে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন বাবা সহ চার মেয়ে। শনিবার সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার গ্যাঁড়াপোতা এলাকা থেকে। ধৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, দিল্লিতে ধরপাকড়ের ভয়ে দেশে ফিরছিলেন ওই পরিবার। সীমান্ত পার হওয়ার আগেই পুলিশের জালে পাঁচ অনুপ্রবেশকারী। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম, আসমা মৃধা, পুন্নি মৃধা, রিয়া মৃধা ও আলিজা কুরেসি, বাবা নান্নু মৃধা। তাঁদের বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানা এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা বছর কয়েক আগেই বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন। তারপর দিল্লিতে পাড়ি জমিয়ে সেখানেই থাকছিলেন। ভারতের নকল পরিচয়পত্রও বানিয়ে ফেলেছিলেন তারা। চার বোনের মধ্যে একজন বিয়ে করেছেন। তার আবার এক সন্তানও আছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক আবহ উত্তপ্ত। হিন্দু নির্যাতনের একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাতেও চাপ বাড়ছে জঙ্গি অনুপ্রবেশের। এদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।
এদিকে সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যেও বেড়া দেওয়া নিয়ে মালদহ, কোচবিহারে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সেই আবহে বাংলাদেশ থেকে দিন কয়েক আগে চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন নান্নু মৃধা। দিল্লি থেকে মেয়েদের বনগাঁয় নিয়ে আসেন তিনি। পরিকল্পনা ছিল মেয়েদের নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ফের বাংলাদেশে যাওয়া।
পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সকালে ওই পাঁচজনকে গ্যাঁড়াপোতা এলাকায় দালালের জন্য অপেক্ষা করছিল। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায়। বনগাঁ থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের জেরা করতে শুরু করলে কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। যে সব পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে সেগুলিও নকল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এরপরেই তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
নান্নু মৃধা জেরার স্বীকার করেন, তিনি মেয়েদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চোরাপথে এদেশে এসেছিলেন। পুলিশ তাদের কথার সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করেছে। দিল্লিতে ওই চার তরুণী কোথায় থাকতেন? সেইসবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিন ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।