Convention, Mecheda, রাজ্যজুড়ে বন্যা- ভাঙ্গন ও খড়া সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি, মেচেদায় সারা বাংলা কনভেনশন

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১ জুন: পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম সহ কয়েকটি জেলা ‘খড়া’, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা প্রভৃতি কয়েকটি জেলা ‘বন্যা’ ও মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দিনাজপুর সহ কয়েকটি জেলার বিরাট অংশ ‘ভাঙ্গনে’র কবলে পড়ে প্রতি বছর সর্বস্বান্ত হন। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদার বিদ্যাসাগর হলে প্রায় দুই শতাধিক ভুক্তভোগী মানুষের উপস্থিতিতে এক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন সূর্য প্রধান। ওই সংক্রান্ত মূল প্রস্তাব উত্থাপন করেন উৎপল প্রধান। সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন দিলীপ কুণ্ডু।

সভায় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের খড়া প্রতিরোধ, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বন্যা প্রতিরোধ এবং মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের নেতৃত্ব গুনসিন্ধু হালদার, অহীন পাত্র, বাসুদেব বর্মন, সূর্যেন্দু বিকাশ পাত্র প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিশিষ্টদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা বন্যা ভাঙ্গন ও খড়া প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক পঞ্চানন প্রধান, কৃষক ও ক্ষেতমজদুর আন্দোলনের রাজ্য নেতা গোপাল বিশ্বাস, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক। কনভেনশনে রাজ্য সরকারের ‘নো কস্ট’ পদ্ধতিতে নদী ও খাল সংস্কারের নানা দিক সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা হয়। সভা থেকে রাজ্যগতভাবে আন্দোলনের লক্ষ্যে সারা বাংলা বন্যা ভাঙ্গন খড়া প্রতিরোধ কমিটি” গঠনের উপর জোর দেওয়া হয়। বর্ষার আগে সেচমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধিমূলক ডেপুটেশন দেওয়ারও কর্মসূচি গৃহীত হয়।

গোপাল বিশ্বাস তার বক্তব্যে আন্দোলনকে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে গ্রামস্তর পর্যন্ত আন্দোলনের হাতিয়ার হিসাবে গণ কমিটি গড়ে তোলার উপর জোর দেন।

পঞ্চানন প্রধান তাঁর বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও দেশের অধিকাংশ (৭০ শতাংশ) মানুষ কৃষি কাজের উপর জীবিকা নির্বাহ করলেও খড়া বন্যা ভাঙ্গন সমস্যা সমাধানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যথাযথ ভূমিকা নেয়নি। আন্দোলনের মাধ্যমেই ভুক্তভোগী মানুষদের উভয় সরকারকে বাধ্য করার উপর উনি জোর দেন।

নারায়ণ চন্দ্র নায়ক তাঁর বক্তব্যে আন্দোলনের মাধ্যমেই কংসাবতী ব্যারেজ থেকে বর্ষার সময় জল ছাড়ার নিয়ম পরিবর্তন সহ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, কেলেঘাই-রূপনারায়ণ নদী সংস্কার ও সোয়াদিঘি গঙ্গাখালি প্রভৃতি নিকাশী খাল সংস্কারের কাজে সরকারকে বাধ্য করা গেছে বলে উল্লেখ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *