আমাদের ভারত, ২৮ এপ্রিল: আর জি কর কাণ্ডে নয়া মোড়। অভয়ার মা- বাবা যে নতুন দাবি করেছেন তাতে আরও জটিল হয়েছে রহস্য। আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পরেও তার মোবাইল ব্যবহার করা হয়েছে। সোমবার শিয়ালদা আদালতে এমনটাই দাবি করেছেন অভয়ার পরিবার।
কোর্টে মুখ বন্ধ খামে পুরো ঘটনা নিয়ে একটি সিনোপসিস জমা করেন তাঁরা। যদিও তা গ্রহণ করেনি আদালত। সন্তানহারা মা- বাবা দাবি করেছেন, মৃত্যুর কয়েক মাস পরেও নির্যাতিতার মোবাইল ব্যবহার করা হয়েছে। ডাক্তারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়েছে সংশ্লিষ্ট নম্বরটি (অভয়ার ব্যবহার করা নম্বর)। ডাক্তারদের তরফ এই খবর পরিবারকে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি।
এদিন আদালতে জমা করা সেই ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু মুখ বন্ধ খামে জমা করা সিনোপসিসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পরে সেই রিপোর্ট ফিরিয়ে দেয় আদালত। বিচারক প্রশ্ন করেন অভয়ার পরিবার যদি সত্যিই তদন্তে সহযোগিতা করতে চায়, যদি কোনো নতুন তথ্য জানাতে চাই তাহলে কেন সিবিআই- এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন না? জবাবে নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, সিবিআই তাদের নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে না।
সূত্রের খবর, আপাতত নির্যাতিতার মোবাইল সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। অনেকের মতে তদন্তের স্বার্থেও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট করা হয়ে থাকতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আদালতে তদন্তে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা করেছে সিবিআই। তাতে রয়েছে ৩২ টিবি সাইজের সিসিটিভি ফুটেজ, ১০০ অভিযোগকারীর চিঠি, একাধিক ব্যক্তির থেকে জোগাড় করা ২০০-র বেশি ছবি জমা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২ জন সাক্ষীকে জেরা করা হয়েছে বলেও স্ট্যাটাস রিপোর্টে জানানো হয়েছে।