আমাদের ভারত, ২৮ এপ্রিল: কাশ্মীরের পেহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারত- পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। আর ক্রমেই সেই যুদ্ধের জল্পনা বাড়ছে। সেই সম্ভাবনাকেই আরো উস্কে দিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ।
সোমবার একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, যে কোনো সময় ভারত সামরিক অভিযানে নামতে পারে। তাই আমরা আমাদের বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করেছি। কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিজেদের কৌশলের বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।
ভারত যে হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে এ ব্যাপারে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর রয়েছে বলে জানান তিনি। সেই কারণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও তাঁর দাবি।
এরপরই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। নিজেদের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্রের ভান্ডার ব্যবহার করব।”
গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের পেহেলগাঁওতে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই হামলায় নিহত হন ২৬ জন। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক বড় পদক্ষেপ করে ভারত। আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে পাকিস্তানিদের ভারত ছেড়ে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থগিত রাখা হয় সিন্ধু জলচুক্তি। বন্ধ করে দেওয়া হয় ওয়াঘা সীমান্ত। পাল্টা হিসেবে প্রাক্তন পাক বিদেশ মন্ত্রী বিলাবল ভুট্ট জারদারি হুঁশিয়ারি দেন, সিন্ধুতে হয় জল বইবে নয়তো ভারতীয়দের রক্ত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহাবাজ শরীফ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেন।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীও বলেন, পেহেলগাঁও- এর ঘটনা দেখে প্রত্যেক ভারতীয়র রক্ত ফুটছে। আমরা জঙ্গি হামলার কঠোর জবাব দেব। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত ছাড়াও উস্কানিমূলক বিষয়বস্তুর জন্য সোমবারই এক ডজনের বেশি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে ভারত। সীমান্ত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি ও সেনা মুভমেন্ট। তারপরই পরোক্ষে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি শোনালেন পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। এখন ভারত এর পাল্টা জবাব কী দেয় সেটারই অপেক্ষা।