আমাদের ভারত, ২৮ এপ্রিল: কাশ্মীরের পেহেলগাঁও হামলার পর অন্তত ৬০০ পাক সেনা জওয়ান ইস্তফা জমা দিয়েছে বলে খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক চিঠিতে দেখা যাচ্ছে ১০০ জন সেনাকর্তা এবং ৫০০ জন জওয়ান ইতিমধ্যেই ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ হেরে যাওয়ার ভয়েই কি এই গণ ইস্তফা?
তবে কেবল গণ ইস্তফাই নয়, গুঞ্জন পাক সেনা প্রধান আসিফ মুনির নাকি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।পেহেলগাঁওতে হিন্দু পর্যটকদের হত্যায় প্রত্যক্ষ মদন দাতা যে পাকিস্তান তা স্পষ্ট হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। যে কোনো মুহূর্তে ইসলামাবাদের উপর আক্রমণ নেমে আসতে পারে ভারতের। এই ডামাডোল অবস্থার মাঝেই উধাও হয়ে গেছেন নাকি সেনাপ্রধান নিজেই। স্থানীয় সূত্রে খবর, যুদ্ধের সম্ভাবনা শুরু হতেই ভয় লুকিয়েছেন দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান। হামলার ভয়ে রাওয়ালপিন্ডির একটি বাঙ্কারে লুকিয়ে রয়েছেন।
অনেকে আবার দাবি করেছেন, স্বপরিবারে বিদেশে পালিয়েছেন পাক সেনা প্রধান। পরে আবার একটি ছবি পোস্ট করে পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, পাক সেনা প্রধান মোটেই দেশ ছেড়ে পালাননি।
এদিকে সেনাপ্রধানকে নিয়ে এমন জল্পনার মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে পাক সেনা বাহিনীতে গণ ইস্তফার খবর। গত কয়েকদিনে ৫০০ জন পাক সেনা জওয়ান এবং ১০০ জন অধিকারী ইস্তফা দিয়েছেন। তবে ভাইরাল হওয়া চিঠির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
সূত্রের খবর, যুদ্ধের আবহে প্রত্যেকদিন নতুন নতুন নির্দেশ জারি করা হচ্ছে পাক সেনার জন্য। সেনা কর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে নতুন পদে। এছাড়া বদলির জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্বজন পোষণের অভিযোগ রয়েছে পাক সেনায়। সঠিক সময় তারা বেতন পান না। কাজ করার পরিবেশও মেলে না সেনা জাওয়ানদের।
তবে এই গণ ইস্তফার খবর ভারতের জন্যেও চিন্তার হতে পারে। কারণ কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে অনেক সময় দেখা যায় পাকিস্তানি সামরিক কায়দায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সন্ত্রাসবাদীরা। যুদ্ধের আবহে যে সেনারা ইস্তফা দিচ্ছেন তারা জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দেবেন এমন সম্ভাবনাও রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।