Sukanta, BJP, সুকান্ত মজুমদারকে কী নোট দিলেন অভয়ার বাবা মা, জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৩০ জানুয়ারি: আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে আজ দেখা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। প্রায় ৫০ মিনিট অভয়ার মা- বাবার সঙ্গে কথা বলেন সুকান্তবাবু। জানা গেছে, তাঁর হাতে নির্যাতিতার বাবা- মা একটি নোট তুলে দিয়েছেন। কী আছে সেই নোটে? রাজনৈতিক মহলে তা নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে।

মদন মিত্র, সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূল নেতারা নির্যাতিতার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপমান জনক কথা বলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার বাবা- মা’র সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জানাগেছে, তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে একটি নোট তুলে দিয়েছেন। কী আছে সেই নোটে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। যদিও সুকান্ত মজুমদার জানান, তিনি সেই নোট উপযুক্ত স্থানে পৌঁছে দেবেন।

অভয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার জানান, তদন্ত নিয়ে ওনাদের মনে অসন্তোষ রয়েছে। পুলিশের তদন্ত এবং সিবিআই-এর একজন অফিসার সম্পর্কে ওনারা বলেছেন। সেইসব বিষয় আমরা উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে দেবো।” তিনি বলেন, “আমরাও সিবিআই- এর একজন দু’জনের ভূমিকা নিয়ে খুশি নই। সিবিআই তদন্তকারী অফিসার সম্পর্কে কোর্টেরও একটি পর্যবেক্ষণ আছে সেটা আপনারা দেখেছেন।”

প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদারের বলা এই উপযুক্ত জায়গা আসলে কোথায়? তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি এরপর এই মামলার মোড় ঘুরবে?

অন্যদিকে মদন মিত্র, সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐ নির্যাতিতার পরিবার সম্পর্কে বলা কথা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, নির্যাতিতার মা তাকে জানিয়েছেন, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখার্জি এবং স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক যখন তাদের মেয়ের মৃতদেহ ঘরে পড়ে রয়েছে সেই সময় হাসতে হাসতে টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল।‌ ফলে সেই দলের নেতারা যে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করবেন তাতে অবাক হবার কিছু নেই।”

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, নির্যাতিতার পরিবারের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল সেই সময়। প্রতিনিয়ত তাদের উপর চাপ দেওয়া হতো মুখ না খোলার জন্য, বলা হতো নাহলে অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাবে। অর্থাৎ তাদের দুর্বল জায়গাকে ব্যবহার করা হয়েছিল সেই সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই। সেই কারণেই প্রথমবার যখন সুকান্ত মজুমদার তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল তাদের উপর এত চাপ ছিল তারা চাইছিলেন না যে তিনি দোতলায় ওঠেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতির মতে এখন নির্যাতিতার মা- বাবা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে ওনাদের মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী করছেন, সে বিষয়ে ওনাদের কোনো দ্বিধা নেই।

আশঙ্কা প্রকাশ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, নিশ্চয়ই মেয়েটি হাসপাতালে ওষুধ জালিয়াতি বা ওষুধের চোরা পাচার সম্পর্কে কিছু জানতে পেরে গিয়েছিল। তাই তার মুখ বন্ধ করার দরকার হয়েছিল হয়তো। চেস্ট মেডিসিনের অন্যান্য ডাক্তাররাও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *