আমাদের ভারত, ৭ সেপ্টেম্বর: অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এবার এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে। নজরে আসছে এক জুনিয়র চিকিৎসকের ভূমিকা।
জানা যাচ্ছে, ৯ আগস্ট অভয়ার মৃত্যুর দিন ভোরে চেস্ট মেডিসিন বিভাগে ভেঙ্গে ফেলা বাথরুমে স্নান করেছিলেন এক জুনিয়র চিকিৎসক। নার্সকে তিনি বলেছিলেন গায়ে রক্তের দাগ লেগে গেছে। ওই জুনিয়র ডাক্তারের খোঁজে আরজিকরের নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা বলে খবর।
রক্তের দাগ রহস্য ক্রমশই দানা বাধছে। যদিও সূত্রের দাবি, সেদিন জুনিয়র ডাক্তার বলেছিলেন মাল্টি ড্রাগ রেজিটেন্স ওয়ার্ডে চার নম্বর বেডে এক মহিলা রোগী ছিলেন, তাকে পিআরবিসি দেওয়ার সময় রক্তের দাগ লাগে তার। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে পিআরবিসি দেওয়ার সময় ওমন ঘটনা ঘটলে সেখানে কর্তব্যরত কোনো নার্স কি ছিলো না? সেই প্রশ্নের জবাব পেতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
সূত্রের দাবি, সেই জিজ্ঞাসাবাদে দুটি তথ্য উঠে আসে। এক, ওই নার্স জানান তিনি কখনো ওই জুনিয়র চিকিৎসককে আগে দেখেননি। দুই, এই জুনিয়র চিকিৎসকের নাম জানতে চাইলে তিনি নাম বলতে চাননি। সিবিআই- এর কাছে যে বয়ান ওই নার্স দিয়েছেন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সেখানে নার্স জানিয়েছেন রাত ন’টা নাগাদ হন্তদন্ত হয়ে মাল্টি ড্রাগ রেজিটেন্স ওয়ার্ডে ঢোকেন জুনিয়র ডাক্তার। ফ্রিজ খুলে কিছু একটা খুঁজছিলেন। নার্স জানতে চাইলে জুনিয়র ডাক্তার জানান পিআরবিসি খুঁজছেন, এক রোগীকে দেবেন। শীতল পিআরবিসি চালানো যায় না, তাই ফ্রিজার থেকে বের করছেন। এরপর সাড়ে দশটা নাগাদ এসে পিআরবিসি চালান।রাত আড়াইটে পর্যন্ত সেটি চলে। নার্স জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ওই সময়ের মধ্যে দুবার রোগীর কাছে গিয়েছিলেন জুনিয়ার ডাক্তার।
নার্সের তরফে জুনিয়র ডাক্তারকে ঠিকমতো গ্লাভস পরেছেন কিনা তা জিজ্ঞাসা করলেন তিনি বলেন পরেছেন। তবে তিনি স্নান করবেন, কারণ তার গায়ে রক্তের দাগ লেগেছে। আড়াই হাত দূরে ছিলেন নার্স। তদন্তকারীদের তিনি জানান, কোনো রক্তের দাগ তার নজরে আসেননি। তবে ট্রান্সফিউশন নোট দিয়েছিলেন জুনিয়ার ডাক্তার।
এর মধ্যে আরো এক জুনিয়র ডাক্তার ওয়ার্ডে এসেছিলেন বলে সূত্রের খবর। সাড়ে দশটার আগের ঘটনা। তখন তার কাছে নার্স জানতে চেয়েছিলেন কে পিআরবিসি চালাবেন? ওই জুনিয়ার জানান, আগের জন চালাবেন। আপাতত এই জুনিয়ার ডাক্তারকে খুঁজছে সিবিআই।
Yes