আমাদের ভারত, ৭ সেপ্টেম্বর: শনিবার দিনের প্রথমার্দ্ধেই দলের অভিনেতা-সাংসদ দেবকে সামাজিক মাধ্যমে একহাত নিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণালের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাটাল হাসপাতালে চিকিৎসার যন্ত্রের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করা প্রকল্পের ফের উদ্বোধন করেছেন দেব।
কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এক্স বার্তায় তার জবাব দিয়েছেন অভিনেতা। লিখেছেন— “তথ্য যাচাই না করে সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য না করাই ভালো।” হাত গুটিয়ে নেয় কুণালও। জবাব দিয়েছেন ১২ মিনিটের মাথায়।
দেব লিখেছেন, “নমস্কার কুণাল দা, আমি দিদিকে অনুরোধ করেছিলাম ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস এবং সিটি স্ক্যান মেশিনের জন্য, সেটা দিদি মার্চ মাসে ভার্চুয়ালি ঘোষণা করেন। এক সপ্তাহ আগে মেশিনগুলো আসে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমি এই মেশিনগুলো উদ্বোধন করি যাতে সাধারণ মানুষ ঘাটাল হাসপাতালের এই ডায়ালিসিস পরিষেবার ব্যাপারে জানতে পারে। আমার মনে হয়, এর ফলে কোনো মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, সুপারস্টার বা মুখপাত্র নয়, সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। ধন্যবাদ তোমাকে, তোমার মাধ্যমে এই পরিষেবার কথা আরও অনেকের কাছে পৌঁছে গেল।
শেষে একটাই কথা বলব, আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তাতে তথ্য যাচাই না করে সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য না করাই ভালো। আরেকবার সকলকে জানিয়ে রাখি, ঘাটাল সুপার স্পেশিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস- এর পরিষেবা আরম্ভ হয়ে গেছে, এখন আর আপনাদের কোনো বেসরকারি হাসপাতাল বা কলকাতার কোনও হাসপাতালে ছুটে যেতে হবে না এবং সিটি স্ক্যান- এর পরিষেবা এই মাসের শেষ থেকেই কার্যকরী হয়ে যাবে। সবার মঙ্গল হোক!”
দেবকে উদ্দেশ্য করে কুণাল এক্স হ্যান্ডলে যুক্ত করা একটি চিঠিতে লিখেছেন, “দিদি যে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন, সেটা ছবিতেই স্পষ্ট। উদ্বোধন দু’বার হয় না। দুটো যন্ত্র এলেও হয় না। আর চলতি পরিস্থিতির কথা যদি বলো, আমরা সৈনিকরা বিষপান করেও লড়ছি, অপ্রিয় হচ্ছি। যারা দল, সরকারকে গালমন্দ করছে, পেশা ও সৌজন্যের নামে তাদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করি না।
দিদির উদ্বোধন ছবিতেই স্পষ্ট। যত যন্ত্র আসুক, উদ্বোধন দু’বার হতে পারে না। উদ্বোধক বদলায় না। এসব টুপি সিনেমায় দিও। আর পরিস্থিতি? আমরা, শ্রমজীবী সৈনিকরা বিষপান করে লড়ে অপ্রিয় হচ্ছি। তুমি চৈতন্যদেব সাজছো। পেশা, সৌজন্যের নামে কুৎসাকারীদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করছ।”