আমাদের ভারত, ২৩ জানুয়ারি: হিন্দু ধর্ম ছেড়ে তাকে মুসলিম হতে হবে। এই দাবি না মানায় তাকে লাগাতার গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। কোনোক্রমে নিজেকে বাঁচিয়ে পুলিশের কাছে এসে অভিযোগ জানাতে চাইলেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে নির্যাতিতা হিন্দু বধূকে। তাই বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনা সম্পর্কে বলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন ওই হিন্দু তরুণী। আর ভিডিও থেকেই পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনা জানতে পেরেছে মানুষ।
জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করতে ধর্ষণের ঘটনা এর আগেও বহুবার ঘটেছে পাকিস্তানে। কিন্তু তার পরেও নড়েচড়ে বসেনি প্রশাসন। জানাগেছে, কয়েকদিন আগে সামারো এলাকার এক হিন্দু বধূকে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ দেয় স্থানীয় কয়েকজন মুসলিম যুবক। কিন্তু তাতে সে রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণ করা হয়। ওই ভিডিওতে অপহরণকারী ৩ যুবকের নামও বলেছেন তরুণী। সে জানায়, ওই তিন যুবক তাকে একটি গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করতে চাপ দেয়। কিন্তু তাতে সে রাজি না হওয়ায় তাকে লাগাতার গণধর্ষণ করে তিন যুবক।
তিন দিন ধরে এই অত্যাচার চলার পর অবশেষে কোনোক্রমে প্রাণ হাতে নিয়ে পালাতে সক্ষম হয়ে তরুণী। ছুটে এসে গোটা ঘটনা স্থানীয় পুলিশকে জানাতে চাইলেও পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। স্থানীয় এক হিন্দু নেতা জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে থানায় বসে থাকতে বাধ্য করা হয় নির্যাতিতা ও তার মাকে। তা সত্ত্বেও অভিযোগ দায়ের করেনি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সুবিচারের আশায় ভিডিও পোস্ট করে নিজের কথা জানিয়েছেন নির্যাতিতা ওই হিন্দু বধূ।
এর আগেও বহুবার পাকিস্তানে হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ দিয়ে নানা ধরনের অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। গত ডিসেম্বরেই ৪০ বছর বয়সী এক মহিলার উপর নারকীয় অত্যাচার চালিয়ে খুন করা হয়েছিল। এই একই কারণে তিনজন হিন্দু মহিলাকে অপহরণ করে মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ধর্মান্তরিত না হওয়ায় এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ ওঠে মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। একের পর এক ঘটনার পরেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। সংখ্যালঘুদের বিষয়ে উদাসীন থেকে গেছে পাকিস্তানের প্রশাসন।