আমাদের ভারত, ২৭ জানুয়ারি:নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিল চলাকালীন লালকেল্লা সহ দিল্লির একাধিক জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে একাংশের কৃষকরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে কৃষক আন্দোলন থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করল ২ কৃষক সংগঠন। আর এতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কৃষকদের মধ্যে ভাঙ্গন দেখা দিলো।
অল ইন্ডিয়া কিষান সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতা সর্দার ভি এম সিং জানিয়েছেন কৃষি আন্দোলন থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করছে তাদের সংগঠন। প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলকে ঘিরে যে তাণ্ডব হয়েছে তাকে সমর্থন করা যায় না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়েছে আরো এক কৃষক সংগঠনও। বুধবার চিল্লা সীমান্ত থেকে কৃষক আন্দোলন থেকে তাদের সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন।
সর্দার ভি এম সিং জানিয়েছেন আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কিছু মানুষের আলাদা উদ্দেশ্য রয়েছে। তাই তাদের সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাদের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে তিনি ও তার সংগঠন অল ইন্ডিয়া কিষান সংঘর্ষ করোনেশন কমিটি এই আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন। তবে তিনি এও জানিয়েছেনএম এস পির গ্যারান্টি না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে কিন্তু এখন যেভাবে আন্দোলন চলছে তার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানীতে ট্রাক্টর মিছিল চলাকালীন আচমকা বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি হয় দিল্লিতে। কৃষকরা দিল্লি পুলিশের সদর আইটিও, লালকেল্লা সহ রাজধানীর একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। নিরাপত্তা বলয় ভেঙে লালকেল্লার মত জায়গায় ঢুকে গম্বুজে ধর্মীয় পতাকা উড়িয়ে দেন একদল কৃষক।
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কৃষক নেতারা। সংযুক্ত কৃষাণ ইউনিয়নেরমুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত বলেন কারা লালকেল্লায় গোলমাল সৃষ্টি করেছে তা আমরা জানি। অন্য এক কৃষক সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে লালকেল্লায় ওই পরিস্থিতির তৈরি করার পেছনে ছিলেন পাঞ্জাবি অভিনেতা দীপু সিধু।