Joint Entrance, Bankura, রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে প্রথম বাঁকুড়া জেলা স্কুলের কিংশুক পাত্র

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৬ জুন: রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে প্রথম স্হান দখল করলো বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র কিংশুক পাত্র। এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে বাঁকুড়ার পড়ুয়ারা না থাকার আফসোস ছিল বাঁকুড়াবাসীর। জয়েন্টের ফলাফলে খুশি তাই বাঁকুড়া।

জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশিত হতেই দেখা গেল বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র কিংশুক পাত্র প্রথম স্থান অধিকার করে জেলার মানব সম্পদ উন্নয়নের ধারাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন। এই খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হতেই জেলার শিক্ষা ও সংস্কৃতি জগতের মানুষরা উৎফুল্লতা প্রকাশ করেছেন। জেলার বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক তথা প্রবীণ ব্যক্তিত্ব সন্তোষ ভট্টাচার্য বা উপন্যাসিক ত্রিলোচন ভট্টাচার্যরা বলেন, এবার মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে জেলায় হয়ত প্রথম ৩ হাতছাড়া হলেও মেধার অভাব নেই। তাই আমরা কখনোই হতাশ হইনি। জেই মেইন পরীক্ষায় সারা দেশের নিরিখে কিংশুক ৫১৫ র‌্যাঙ্ক করলেও খুশি হতে পারেননি। এবার জয়েন্টে প্রথম হয়ে খুশি হলেও তাকিয়ে আছেন জয়েন্ট অ্যাডভান্স-এর ফলাফলের দিকে। কারণ কিংশুক খড়্গপুর বা কানপুর আইআইটিতে ভর্তি হয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়তে চান। তাই আরও অপেক্ষা করতে চান কিংশুক।

কিংশুকের বাবা নির্মলেন্দু পাত্র ও মা কৃষ্ণা পাত্র দু’জনেই শিক্ষক। ইন্দপুরে গ্রামের বাড়ি হলেও ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বাঁকুড়া সংলগ্ন জুনবেদিয়ায় বাড়ি করে থাকেন এই শিক্ষক দম্পতি। মেয়ে বাঁকুড়া মেডিকেলের ডাক্তারি পড়ুয়া। ইচ্ছে আছে ছেলে আইআইটিতে পড়াশোনা করুক।

বাঁকুড়া জেলা স্কুল বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্য মেধা তালিকায় ভালোভাবে নজর কাড়তে পারছিল না। কিংশুক এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলের হৃত গৌরব ফিরিয়ে দেওয়ায় খুশি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিংশুক প্রথম শ্রেণি থেকে জেলা স্কুলের ছাত্র। ২০২২ সালে মাধ্যমিকে প্রথম দশে না থাকলেও ৬৬৭ পেয়ে নজর কেড়েছিলেন।উচ্চ মাধ্যমিকেও রাজ্য মেধা তালিকায় প্রথম দশ অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়। প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪৭৭। উচ্চ মাধ্যমিকে তার ৩ জন গৃহশিক্ষক থাকলেও বাবা- মা এবং অনলাইন কোচিংয়ে তার এই সাফল্য বলে জানান কিংশুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *