আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৬ জুন: বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার বিরুদ্ধে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডেই বাড়ি বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিধানসভায় তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও নিজের ওয়ার্ডেই বিজেপির থেকে পিছিয়ে তৃণমূল। এমনকি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুরসভার চেয়ারম্যানের স্ত্রী মীনাক্ষী ভকত। সেই ক্ষোভেই পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
প্রসঙ্গত, তারাপীঠে পুজো দিতে এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যারা যারা নিজেদের এলাকায় হারবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই মতো সমস্ত কাউন্সিলর প্রচার তুঙ্গে তুলেছিলেন। কিন্তু রামপুরহাট পুরসভার ৪ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া কেউই সাফল্য পায়নি। তবে ৫ নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের শীর্ষ নেতার পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে যায়নি বলে দলেই অভিযোগ রয়েছে। দলের নেতার সদস্যরা ভোট না দিলেও তাদের বিরুদ্ধে দল কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। উল্টে ওয়ার্ডে হেরে গিয়ে বদলা নিতে কোথাও পানীয় জল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, আবার কোথাও অস্থায়ী পুরো কর্মীদের কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড থেকে অভিযোগ আসছে। বৃহস্পতিবার এরই প্রতিবাদ জানিয়েছেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন বাসিন্দা। এদিন তারা পুরসভায় অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত না থাকায় তাদের সঙ্গে কথা হয়নি।
ওয়ার্ডের প্রবীণ বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “এমনিতেই ওয়ার্ডে জলের অভাব। সেই অভাব দূর করতে সাবমার্সিবলের মাধ্যমে জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার থেকে সেই জল সরবরাহ অজ্ঞাত কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা জল চাই”।
ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “জলই জীবন। সেই জল বন্ধ করে মানুষকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে তৃণমূল। তাই ওয়ার্ডে ভোটে হারতেই বিদ্যুৎ দফতরকে দিয়ে জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলো। অথচ ওই সাবমার্সিবলের উদ্বোধন করেছিলেন ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি সাবমার্সিবলগুলি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে তিনি উদ্বোধন করলেন। আমরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। উনি বিকেলের মধ্যে জলের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। জলের ব্যবস্থা না হলে শুক্রবার থেকে পুরসভার অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করব।”