আমাদের ভারত,১৩ মার্চ:কি ভাবে ছড়ালো করোনাএবার সেটা নিয়েই দ্বন্দ্ব শুরু হলো চিন ও আমেরিকার মধ্যে। চিনের উহান প্রদেশে থেকেই ব্যাপকহারে করণা সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে চীনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বেজিংকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও অভিযুক্ত করেছে হোয়াইট হাউস। এবার হোয়াইট হাউসকে পাল্টা দিয়ে বেজিং দাবি করল মার্কিন সেনার মাধ্যমেই ছড়িয়েছে করোনা।
বেজিং বলেছে আগে নিজের ঘর সামলাক আমেরিকা। সারা বিশ্ব যখন করোনায় পর্যুদস্ত তখন প্রমাণ ছাড়া চিনকে এই দোষারোপ করা অনুচিত। শুক্রবার টুইট করে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লি জিয়ান ঝাও দাবি করেছেন অমেরিকায় এই ভাইরাসের জন্ম দিয়েছে। তাদের সেনা করোনা ভাইরাস নিয়ে এসেছিল চিনে। এই পোষ্টের সঙ্গে তিনি একটি ভিডিও জুড়ে দেন সেখানে মার্কিন স্বাস্থ্য আধিকারিককে সাংবাদিক বৈঠকে বলতে শোনা গেছে ৩.৪ কোটি মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত এবং তাতে এখনো পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় কুড়ি হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ঝাওয়ের দাবি আগেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবার তা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
Some #influenza deaths were actually infected with #COVID-19, Robert Redfield from US #CDC admitted at the House of Representatives. US reported 34 million cases of influenza and 20,000 deaths. Please tell us how many are related to COVID-19? @CDCDirector pic.twitter.com/vYNZRFPWo3
— Lijian Zhao 赵立坚 (@zlj517) March 12, 2020
4. Chinese spox: As a Chinese saying goes, "Turn inward & examine yourself when you encounter difficulties." We urge the US officials to respect facts. Every minute wasted on smearing & complaining would be better spent on enhancing domestic response & international cooperation. pic.twitter.com/nNNGqT9EGz
— Lijian Zhao 赵立坚 (@zlj517) March 13, 2020
করোনা আসার আগেই চিন আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক যুদ্ধ অব্যাহত ছিল। এমনকি তাদের বাণিজ্যিক যুদ্ধে প্রভাব পড়েছিল চিন আমেরিকা ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলির ওপরে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের আমদানির পর বিশ্বের প্রায় সব দেশের অর্থনীতি টালমাটাল হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টালমাটাল হয়েছে চিনের অর্থনীতি। ওখানেই প্রথম চিহ্নিত করা হয়েছিল করোনা ভাইরাস। চিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৮০,০০০। সেখানে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কিভাবে উৎপত্তি হয়েছিল এই ভাইরাসের? প্রথমে বলা হয়েছিল উহান প্রদেশের হুনান সি-ফুড মার্কেট থেকে এই ভাইরাসের আমদানি। সামুদ্রিক প্রাণীর কাছ থেকেই কবিড-১৯ জীবাণু পাওয়া যায়। কিন্তু জাপানের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।
চারটি মহাদেশে বারোটি দেশ থেকে একশোরও বেশি জেনাম সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে চিন করোনার উৎপত্তিস্থল নয়। চিনের এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে মানুষের কাছ থেকে মানুষের সংক্রমণ ছড়িয়েছে নভেম্বর থেকে। উহানে তা আসে অনেক পরে।
গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট বলছে গত বছর ডিসেম্বরের গোড়ায় নভেল করোনা ভাইরাস ছড়ায়। আর সেই সময় চলছিল উহান মিলিটারি গেমস। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেছিল এই গেমসে। মার্কিন সেনার প্রতিনিধি ও অতিথি হিসেবে সেখানে এসেছিল। আর সম্প্রতি মার্কিন স্বাস্থ্য আধিকারিক সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন ৩.৪ কোটি মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত। আর তাতে মৃত্যু হয়েছে কুড়ি হাজারের। আর এরপরই চিন দাবি করতে শুরু করে তাহলে কি প্রথম করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র?উহানে মিলিটারি গেমস শেষ হওয়ার পর থেকেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। জাপানি সংবাদমাধ্যম আসাহি দাবি করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোন ভাইরাসের উৎপত্তি। এদিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। চিন ও জাপানের এই অভিযোগ নিয়ে কোন রকম মুখ এখনো পর্যন্ত খোলেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজে কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন তরফে জানানো হয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্তদের নোবেল করোনাভাইরাস তারা পরীক্ষা করাবেন।