বিয়ের পিড়িতে বরকে দেখে জ্ঞান হারালো কনে, পলাতক বর

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৩ মার্চ:
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সে। মাত্র ১৪ বছর বয়সি কনে। ৫০ বছর বয়সী বরকে দেখে বিয়ের পিড়িতেই জ্ঞান হারালো কনে। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার মোড় এলাকার। খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ ও বিডিও অফিসের কয়েকজন আধিকারিক গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। বর পলাতক।

অভিযোগ, তার মেজোদিদি ও ছোটদিদি জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল। এমনকি বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওই কিশোরীকে বেধড়ক মারধর করে তারা বলে অভিযোগ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর অনেকদিন আগেই বাবার মৃত্যু হয়েছে। তারপর থেকেই মছলন্দপুরে বড়দিদির কাছে থেকেই পড়াশোনা করত। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর মেজদিদি তৃপ্তি মজুমদার গাইঘাটার বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখান থেকে গাইঘাটার মহিষাটির বাসিন্দা গৌতম বাড়ুই বয়স ৫০, তাঁর সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিয়ের তোরজোড় চলে গৌতমের বাড়িতেই। বিয়ের দিন সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী জানতে পাড়ে তারই বিয়ের তোরজোড় চলছে এই বাড়িতে। এই শুনে সে বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর তাঁকে ঘর বন্দি করে বেধড়ক মারধর করে তাঁর মেজদিদি। বিয়ের পিঁড়িতে ৫০ বছরের ওই বরকে দেখে জ্ঞান হারায় ছাত্রী। তাতেও হাল ছাড়েনি মেজদি তৃপ্তি মজুমদার। জ্ঞান হারানো অবস্থায় পুরোহিত দিয়ে মন্ত্রপাঠ করে বিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে গৌতমের বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ ও বিডিও আধিকারিকরা। পুলিশ দেখে বাড়ি ছেড়ে পালায় মেজদি ও বর।

কিশোরীর বড়দিদি সুদেবী মন্ডলের অভিযোগ, তার মেজোবোন তৃপ্তি বেড়ানোর নাম করে ছোট বোনকে নিয়ে এসে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়। যা জানত না অন্য কোনও বোনেরা। এই মর্মে গৌতম ও তাঁর বোন তৃপ্তির বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বড়দিদি সুদেবী মণ্ডল।

গাইঘাটার বিডিও আদিত্যবিক্রম মোহন বলেন, এই ভাবে অল্প বয়সের কিশোরীদের লুকিয়ে বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের খোঁজে গাইঘাটা থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *