আমাদের ভারত, ২২ এপ্রিল: এসএসসির প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পর যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের বেতন ফেরত দিতে বলেছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে ওই চাকরি প্রার্থীদের সমস্ত বেতন ফেরত দিতে হবে। সেই সঙ্গে দিতে হবে সুদও।
মেয়াদ উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের বছরে ১২% সুদ দিতে বলা হয়েছে। যারা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন তাদের ক্ষেত্রেও হাইকোর্টের এই একই নির্দেশ প্রযোজ্য থাকবে বলে জানিয়েছে।
বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিতে গিয়ে বলেছে, জনগণের টাকায় বেতন পেয়েছেন ওই চাকরি প্রাপকরা। তাই বেতন তাদের ফিরিয়ে দিতেই হবে। সেই সঙ্গে সুদও দিতে হবে। বেতনের পুরো টাকা তারা ফিরিয়েছেন কিনা সেটা আদালতে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের।
সোমবার আদালত ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে। এর ফলে বাতিল হয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। তদন্তের প্রয়োজনে যে কোনো সন্দেহভাজনকেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তারা। এছাড়াও এসএসসির উত্তর পত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। জনসাধারণ যাতে উত্তরপত্র দেখতে পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। সব চাকরি বাতিল হলেও একজনের চাকরি যায়নি। সোমা দাস নামে ক্যান্সার আক্রান্ত এক চাকরি প্রাপকের নিয়োগ মানবিক কারণে বাতিল করেনি আদালত।
২০১৬ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে যে মামলা হয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই মামলা শুনেছিলেন। সেই সময় ৮১৬১ টি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশ বহাল থাকে ডিভিশন বেঞ্চেও। এরপর রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেখান থেকে মামলা ফেরানো হয় হাইকোর্টে। বিচারপতি বসাকের বিশেষ বেঞ্চে মে মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সাড়ে তিন মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়ার শেষে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার হাইকোর্ট আজ রায়দান করল।