আমাদের ভারত, সন্দেশখালী, ১০ ফেব্রুয়ারি: “এখানে রাত্রিবেলা আমাদের কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ ঢুকছে। মারধর করছে। মেয়েদেরও মারছে। আমরা দেখা করতে যাব না? আমাদের কর্মীদের উপর কোনও ভাবেই অত্যাচার আর সহ্য করব না।”
বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতা কর্মী শনিবার এসেছিলেন সন্দেশখালি থানায় যাওয়ার জন্য। তাঁদের অভিযোগ, ভুজঙ্গ দাস নামে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুর করা হয়েছে।
বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার বলেন, “পুলিশ শেখ শাহজাহানকে ধরতে পারছে না। অথচ যে দিন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এলেন, পুলিশ মামলা দিয়ে দিল। আমরা নাকি পুলিশ পিটিয়েছি। আমরা শুধু কর্মীদের পাশে থাকতে চাইছি। মানুষের মুখ বন্ধ করার জন্য মমতা ব্যানার্জির সরকার যে রাস্তা নিচ্ছে, এটা সমাধানের কোনও পন্থা নয়। সন্দেশখালির মানুষই পথ দেখাবে, মানুষই শেষ কথা। বাড়ির মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন ভোগ করবে, একটা এফআইআর হবে না, এ ভাবা যাচ্ছে না।”
অর্চনা মজুমদার বলেন, “সন্দেশখালিতে আমরা বন্দুক-বোম নিয়ে আসিনি। মাত্র চারজন এসেছি। আমরা শুধু অত্যাচারিত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমাদের মহিলা-সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়েছে পুলিশ এবং পুলিশের উর্দিপড়া তৃণমূল গুণ্ডারা। মেয়েদের শাসিয়েছে। এত মেরেছে যে চার জন মরনাপন্ন অবস্থায় বসিরহাট হাসপাতালে মরনাপন্ন অবস্থায় আছে।
প্রসঙ্গত, অশান্তি রুখতে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে পুলিশের টহলদারি। তবে শনিবার সকালে নতুন করে আবার উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালির সিতুলিয়া গ্রামে। বিক্ষোভরত মহিলাদের অভিযোগ, ভুজঙ্গ দাস নামে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই হামলার ঘটনায় পুলিশের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ। সেই ভাঙ্গচুরের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। শনিবার ধামাখালি থেকে কিছুটা দূরে রামপুর নস্কর পাড়া এলাকায় আটকে দেওয়া হয় বিজেপি নেতা কর্মীদের।