Smriti Irani, RG Kar, “তোমার ধর্ষণ, আমার ধর্ষণ নয়, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দোষীদের ধরুন”, দাবি স্মৃতির

আমাদের ভারত, ১৬ আগস্ট: কেবল আমি নই, বা আপনারা নন। পুরো দেশ আর জি কর-কাণ্ডের উত্তর চায়। ‘তেরা রেপ, মেরা রেপ’— এরকম ভাবনা বন্ধ করুন মমতাজী।

শুক্রবার কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, এখন একটাই নিশ্চিত উত্তর চাই। নির্যাতিতার ওই অসহায় মৃত্যুর কিনারা হবে তো?

স্মৃতি বলেন, ৩৬ ঘন্টা ধরে অসুস্থদের সেবা করার পর নবীন চিকিৎসক নিজের হাসপাতালে শুয়েছিলেন। ভাবা যায়, সেখানেই এত নৃশংসভাবে তাঁর ওপর অত্যাচার হলো। হত্যা করা হলো সেখানেই। তাঁর বুকে, পেটে, গলায়, হাতে, ঠোঁটে সর্বত্র গভীর আঘাতের চিহ্ণ। তাঁর চোখে, যৌনাঙ্গে রক্ত। তাঁর নখ উপরে ফেলা হয়েছে। তিনি যন্ত্রনায় কান্নাকাটি করেননি? অত্যাচার থেকে বাঁচতে আর্তচিৎকার করেননি? নির্যাতিতার স্ত্রী-অঙ্গ থেকে ১৫০ গ্রাম সিমেন (বীর্য) পাওয়া গিয়েছে। যেভাবে তাঁর ওপর অত সাঙ্ঘাতিক অত্যাচার হয়েছে, সেটা একজনের পক্ষে সম্ভব?

স্মৃতি প্রশ্ন করেন, নির্যাতিতার মৃত্যুর পর তাঁর বাবা-মাকে কার নির্দেশে, কে, কেন ফোনে আত্মহত্যার খবর দিয়েছিলো? জনতা এসবের জবাব চায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছেন। সাংবাদিকরা স্মৃতিকে এ কথা বললে তিনি তৎক্ষণাৎ বলেন, “ওঁর পরিবার পয়সা চায় না। ইনসাফ চায়”। অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা সম্পর্কে স্মৃতি বলেন, “সংবাদমাধ্যমে আমি জেনেছি, উনি হাসপাতালের স্বার্থে নয়, ক্রমাগত চেষ্টা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রক্ষা করতে।”

নির্যাতিতার মৃত্যুর বিতর্কের মধ্যেই ঘটনাস্থলে দেওয়াল ভাঙ্গার ঘটনায় বিতর্ক উঠেছে। এক সাংবাদিক বলেন, “আমাদের ফোন পেয়েই স্বাস্থ্যসচিব সেই দেওয়াল ভাঙ্গার কাজে স্থগিতাদেশ দেন।” প্রতিক্রিয়ায় স্মৃতি বলেন, “কী অবস্থা! তাহলে আপনাদের ফোন না পেলে ওই ভাঙ্গার কাজ চলতই?

স্মৃতি বলেন, “এসবের উত্তর আমরা মমমতাজীর কাছেই চাইবো। উনি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *