আমাদের ভারত, বনগাঁ, ১৮ জানুয়ারি: মূক-বধির যুবতীকে জোর করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশী এক যুবককের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াছিল অভিযুক্ত যুবক। শনিবার সকালে নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সবাইপুর এলাকায়। অভিযুক্ত যুবকের নাম সাইদুল মণ্ডল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নির্যাতিতার বাবা মা ও এক ভাইকে নিয়ে সংসার। বাবা মা দিনমজুরের কাজ করেন। এদিন সন্ধ্যায় বাবা মা কাজ থেকে ফিরতে দেরি করে। ফাঁকা বাড়িতে ওই যুবতী একাই ছিল। সেই সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত সাইদুল যুবতীকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে পাশের একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর নির্যাতিতা অসুস্থ হয়ে সেখানেই পড়ে থাকে। বাবা মা বাড়ি ফিরে মেয়েকে না দেখেতে পেয়ে আশপাশের প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এরপর বাগানে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওই যুবতী ঘটনার বর্ণনা দেওয়ায় অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ। ঘটনার পর অভিযুক্ত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। গোপালনগর থানার পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করেও খোঁজ পায় না। আজ সকালে অভিযুক্ত সাইদুল নিজেই গোপালনগর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে। নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়। অভিযুক্তকে শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।