নেতার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে আর নেতা হওয়া যাবে না: বেচারাম মান্না

আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৬ নভেম্বর: ঝকঝকে ধপধপে পাঞ্জাবী পরে নেতার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে আর নেতা হওয়া যাবে না। যারা মানুষের সঙ্গে মিশে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ তুলে ধরবেন তারাই হবেন আসল নেতা। তাই যারা দলের কাজ করেন না তারা বসে থেকে যারা কাজ করছেন তাদের এগিয়ে দিন। শনিবার তৃণমূলের কিষাণ ক্ষেতমজদুর সংঘের মুরারই ১ নম্বর ব্লক সম্মেলনে একথা বলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বেচারাম মান্না।

এদিন মুরারইয়ের ভাদীশ্বরে রাজ্য কিষাণ ক্ষেত মজদুর সংঘের মুরারই ১ নম্বর ব্লক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মুরারই ও নলহাটির বিধায়ক আব্দুর রহমান ও মইনুদ্দিন সামস, বীরভূম জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ আসগার আলি, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ ভকত, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ। সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কর্মীদের সচেতন করেন বেচারাম মান্না।

তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে। বহু সামাজিক প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু আমরা মানুষের কাছে সেই প্রকল্প তুলে ধরতে পারিনি। আরএসএস বিজেপির দল তিনমাস বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমস্ত প্রকল্প কেন্দ্র সরকারের টাকায় হয়েছে বলে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে। মানুষ তাদের কথাকে মান্যতা দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের মিথ্যা কথার জবাব দিতে পারিনি। তাছাড়া আমরা ভেবে নিয়েছিলাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ আমাদের। ফলে মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে দেবে। কিন্তু ফল উল্টোটা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। তাই এবার নেতা হয়ে বসে থাকলে হবে না। মানুষের কাছে যেতে হবে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণের জন্য তাদের সঙ্গে ব্লকে যেতে হবে, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সমস্যা হলে তাদের নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে যেতে হবে। সাধারণ মানুষের জন্য তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি কি করেছেন তা তুলে ধরতে হবে। আর যারা এই কাজ করতে পারবেন না, তারা সরে যান। যারা কর্মঠ তাদের এগিয়ে দিন”।

কৃষি প্রসঙ্গ টেনে বেচারামবাবু বলেন, “তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কৃষিকাজে রাজ্য কয়েকগুণ এগিয়ে গিয়েছে। সারা দেশে সব থেকে বেশি কৃষক আত্মহত্যা করে মহারাষ্ট্রে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে একটি কৃষকের মৃত্যু হয়নি। এটাই আমাদের গর্ব”। কিষাণ ক্ষেতমজদুর সংঘের মুরারই ১ নম্বর ব্লক সভাপতি সেমিম আলম বলেন, “জেলায় প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল মুরারইয়ে। এরপর বিভিন্ন ব্লকে হবে। জেলা সম্মেলন হবে রামপুরহাটে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *