সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৫ জুন: বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে আজ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পৃথিবীর উষ্ণায়ন নিয়ে এই সব সংস্হাগুলি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। উষ্ণায়নের ফলে আগামী দিনে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পড়তে চলেছে মানব সভ্যতা তার ইঙ্গিত বার বার মিলেছে। এবার দেশের রাজধানী শহর ৫২.৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা নিয়ে জানিয়ে দিয়েছে আমরা আর নিরাপদ নই। আফ্রিকার একটি দেশ এবারই জল শূন্য হয়ে পড়েছে। সেই কথা মাথায় রেখে এদিন জেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাছ লাগানোর জন্য মানুষকে সচেতন করা হয়।
সোনামুখীর মদনপুর জয়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনন্দময় ঘোষ বলেন, ৫ জুন দিনটিকে পালন করলেই হবে না। প্রতিদিনই আমাদের পরিবেশ নিয়ে ভাবতে হবে। তা না হলে আমরা রক্ষা পাবো না। তিনি এই বিশেষ দিনে বিদ্যালয়ের শিশু সংসদ, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের নিয়ে বিদ্যালয়ে পরিবেশকে সুস্থ রাখতে গাছ লাগানো, প্লাস্টিকের ব্যবহার না করা এবং জলের অপচয় বন্ধ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতার জন্য সেমিনারের আয়োজন করেন। বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে, পরিবেশের সবুজায়নের লক্ষ্যে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অশোক, চন্দন ইত্যাদি বৃক্ষরোপন করা হয়।

অন্যদিকে দক্ষিণ বাঁকুড়ার চাতরি নিম্ন বুনিয়াদী আবাসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম মন্ডল জানান, এদিন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি সচেতনতা র্যালি বিভিন্ন গ্রাম পরিক্রমা করে পৃথিবীকে সুস্থ রাখার বার্তা দেওয়া হয়।
বেলিয়াতোড় যামিনী রায় কলেজের এনএসএস বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার অধ্যাপক রামকৃষ্ণ মুখার্জি জানান, সচেতনতার মাধ্যমেই সমাজকে জাগ্রত করা আমাদের মূল লক্ষ্য। কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ প্রদীপ কুমার ব্যানার্জি এই প্রচন্ড গরমে বেডরুমে এসি না লাগিয়ে প্রত্যেককে একটি করে ইনডোর গাছ লাগানোর আহ্বান জানান। এনএসএস ইউনিটের পক্ষ থেকে একটি পরিবেশ সচেতনতামূলক র্যালির আয়োজন করা হয়। এই র্যালিতে এনএসএস ভলান্টিয়াররা স্লোগানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করেন। পরিবেশের সবচেয়ে বড় শত্রু পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানান তারা। পলিথিন ব্যবহার বন্ধ হলেই মাটি পুনরায় উর্বর থাকবে। বাড়ির আবর্জনা পুকুরের জলে ফেলা চলবে না- এই বার্তাটি পৌঁছে দেওয়া হয় মানুষের কাছে।
জাতী সংঘের উদ্যোগে ১৯৭৩ সাল থেকে ৫ জুন দিনটিকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন হয়ে আসছে। ২০২৪ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম হল “ভূমি পুনরুদ্ধার, মরুকরণ ও খরা ক্ষিতিস্থাপকতা”।

