পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ জুন: রাজনীতিতে জয়, পরাজয় আছে। প্রতিটি লড়াই নতুন অনুপ্রেরণা যোগায়। নতুন শিক্ষা দেয়। নতুন করে উৎসাহ আনে। পরাজয়ের পর এই বার্তা দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, প্রথমেই মেদিনীপুরবাসীকে ধন্যবাদ। আসানসোল থেকে মেদিনীপুরের মাটিতে লড়তে এসে অভূতপূর্ব ভালোবাসা পেয়েছি।
এবার দল আমাকে মেদিনীপুর লোকসভার আসনে প্রার্থী করেছিল। আমি গর্বিত এই বিপ্লবীদের মাটিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে। মেদিনীপুরের মাটি সর্বদা আমাদের লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা দিয়েছে। এই মাটি বীর শহিদ ক্ষুদিরাম বসু মাতঙ্গিনী হাজরা, সতীশ সামন্ত, সুশীল ধারা, বীরেন্দ্রনাথ শাসমল সহ বহু অকুতোভয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্ম দিয়েছে। এই মাটি পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের চরণ ধূলিতে ধন্য। এই মাটিকে আমি সবসময়ে নতমস্তকে প্রণাম জানাই।
এই লোকসভার ভোটে শুধু আমি নই, লড়েছেন আপনারাও। লড়েছেন বাংলার মায়েরা, মেয়েরা। লড়েছেন আমার গুরুজনেরা। লড়েছেন আমার ভাইয়েরা। মেদিনীপুরে এসে কার্যকর্তা ভাইদের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তা ভোলার নয়। সন্ত্রাস সত্ত্বেও লোকসভার ভোটে দাঁতে দাঁত চেপে এরা লড়াই করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে বাংলার হাল বেহাল। চাকরি বিক্রি হয়েছে। যোগ্য ছেলেরা রাস্তায় বসে আছেন। মন্ত্রীরা জেল খাটছেন। কর্মসংস্থান নেই। যুবকরা বাংলা ছেড়ে রাজ্যের বাইরে চলে যাচ্ছেন। রাজ্য হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুরঘর।
রাজনীতিতে জয়, পরাজয় আছে। প্রতিটি লড়াই নতুন অনুপ্রেরণা যোগায়। নতুন শিক্ষা দেয়। নতুন করে উৎসাহ আনে। কেন্দ্রে আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের পথে নিয়ে চলেছেন ভারতকে। ওনার পরিকল্পনা বিকশিত ভারতের। আমরাও সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিকশিত ভারতের জন্য উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হব।
লড়াই চলবে বাংলায়। ভারত এগোবে, বাংলা পিছিয়ে থাকতে পারে না। মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে আমার শপথ, বাংলায় তানাশাহি সরকারকে না সরানো পর্যন্ত থামব না।
রবীন্দ্রনাথের অপমানিত কবিতার কয়েকটি লাইন মনে আসছে- “তোমার আসন হতে যেথায় তাদের দিলে ঠেলে
সেথায় শক্তিরে তব নির্বাসন দিলে অবহেলা।
চরণে দলিত হয়ে ধুলায় সে যায় বয়ে–
সেই নিম্নে নেমে এসো, নহিলে নাহি রে পরিত্রাণ।
অপমানে হতে হবে আজি তোরে সবার সমান।।”