আমাদের ভারত, ১৭ জানুয়ারি: বইমেলায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে স্টল না দেওয়ায় গিল্ডের প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্টল সংক্রান্ত মামলায় আদালতে মুখ পুড়েছে মেলার আয়োজক সংস্থা পাবলির্শার অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের।
পরের শুনানিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে স্টল দেওয়ার ব্যাপারে তারা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানাতে হবে আদালতকে। ২০ জানুয়ারি সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলার পরবর্তী শুনানি করবেন। বিচারপতি সিনহার মৌখিক নির্দেশ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্টলের জায়গা ঠিক করে আদালতে পরের দিন জানানোর।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইনজীবী সুবীর সান্যাল বলেন, সমস্ত শর্ত মেনে বই মেলায় স্টল দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। লটারির পর দিন আবেদন খারিজ করা হয়। গিল্ডের বক্তব্য, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে ৬০০ স্কোয়ারফুটের স্টলের আবেদন জানানো হয়েছে। পাল্টায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, আপনাদের সমস্যা ফুট নিয়ে, নাকি স্টল দেওয়া নিয়ে?
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইনজীবী সুবীর সান্যাল শুনানিতে দাবি করেন, বিভিন্ন শর্ত দিয়ে স্টলের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। জায়গার কথা বলে সব শর্ত মেনে আবেদন জানানো হয়েছিল। স্টল না পাওয়ার কারণ জানতে চাই আমরা। ১০ জানুয়ারি মেইল করি, কিন্তু আজ পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। পরিষ্কার করে কিছু বলা হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
গিল্ডের আইনজীবী বলেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কোনো পাবলিশার্স নয়। বুক সেলার নয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পত্রিকার নাম বিশ্ব হিন্দু বার্তা। কিন্তু আবেদন জানানো হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নামে। বিচারপতি বলেন, আপনারা জানতেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নিজের পাবলিকেশন হাউস আছে। গিল্ডের আইনজীবী আপত্তি করে বলেন, ওদের প্রতিবেদন বা বইয়ের লেখা যথেষ্ট সেন্সেটিভ এবং বিতর্কিত। গিল্ড কোনো বিতর্ক চায় না। বিচারপতি তখন বলেন, আপনারা তো এত বছর অনুমতি দিয়ে এসেছেন, তখন মনে হয়নি। সংগঠনের লেখা স্পর্শকাতর। বিচারপতি তখন বলেন, এত বছর তাহলে আপনারা অনুমতি দিলেন কেন? এত বছর যখন অনুমতি দিলেন এই বছর দেবেন না কেন? বিচারপতি এপিডিয়ারের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, আগের মামলা আদালত খারিজ করেছিল, কারণ তাদের কোনো পাবলিশিং হাউসের রেজিস্ট্রেশন ছিল না। তবে এই মামলায় মামলাকারী নিজেদের পক্ষে যুক্তি দিয়েছে।