আমাদের ভারত, ৫ জানুয়ারি: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই মালদার তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন। বাইরে থেকে দুষ্কৃতিরা এসে এই খুন করেছে। এই ঘটনায় ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তুলেছেন কে এই দুষ্কৃতীদের ঢোকাচ্ছে? তাঁর কথায়, তৃণমূলের আমলে বাংলা ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
মালদার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে সম্প্রতি ববি হাকিম জানান, বিহার থেকে দুষ্কৃতিরা বাংলায় এসে খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা প্রশ্ন করেন, বিহার থেকে দুষ্কৃতীদের ভাড়া করে নিয়ে আসছে কে? তৃণমূল কংগ্রেসের কোন নেতা ভাড়া করেছে তা আমরা বলছি না, বরং খোদ মৃত নেতা দুলাল সরকারের স্ত্রী বলছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী খুন হয়েছেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন, সীমানাও উন্মুক্ত রাখবেন, কাঁটাতার দিতে দেবেন না, দুষ্কৃতীরা এসে আজ বাংলাকে ভাগাড় বানিয়ে দিয়েছে।
২ জানুয়ারি দিনের আলোয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছেন মালদা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি ব্যবসায়ী দুলাল সরকার। তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, এটা এক বা দু’জনের কাজ না, একাধিক মানুষের চক্রান্তে শিকার হয়েছেন তিনি। তারা হয়তো ভেবেছিল মানুষটা থাকলে ওদের সুবিধে হচ্ছে না, এরজন্য ওকে সরিয়ে দেওয়া জরুরি। চক্রান্ত হয়েছে, তবে কে বা কারা এই চক্রান্ত করেছে সেটা আমার জানা নেই। রবিবার এই প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার।
সকালে মুম্বাই রওনা দেন সুকান্ত মজুমদার। তার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে বাংলাদেশের তরফে ভারতের আটক মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ও বিদেশ মন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মাছ ধরতে গিয়ে মৎস্যজীবীরা সীমানা বুঝতে না পেরে অন্য দেশের সীমানায় চলে যান। স্বাভাবিকভাবে তাদের গ্রেফতার করেন অন্য দেশের পুলিশ বা সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর তদারকিতে তারা আজ বাড়ি ফিরছেন। তাদের পরিবারের সকলকে আমার তরফে শুভেচ্ছা রইলো।”
সম্প্রতি দল ছেড়েছেন বিজেপি নেতা অশোক করণ। দলের নেতা কর্মীদের বার্তা দিতে সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, নন্দীগ্রামে বেশ কিছু লোক অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। তবে নন্দীগ্রাম বিরোধী দলনেতার বিধানসভা কেন্দ্র হওয়ায় উনি বিষয়টি দেখছেন। আমরা এই ব্যাপারে নজর রাখছি। ভোট যত এগিয়ে আসবে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের ট্র্যাডিশন অনুযায়ী দু’ একজন এদিক ওদিক যাবে। ওই দিক থেকেও আসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।