আমাদের ভারত, ৩১ জানুয়ারি: কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া টাকার দাবিতে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূল নেত্রী। তার আগে বুধবার দিল্লিতে ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে মমতার আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগের জবাব দিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে দু’ লক্ষ কোটি টাকার হিসাব দেয়নি বলে অভিযোগ করলেন তিনি।
এই টাকা কোথায় গেল জানতে চান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি ক্যাগের রিপোর্টের উল্লেখ করে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নেওয়া হয়েছে প্রকল্পের টাকা। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, দুর্নীতির এটা একটা নতুন পদ্ধতি। সাধারণ মানুষের টাকা কোথায় গিয়েছে কেউ জানে না।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রাজ্য সরকারকে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয়। তাতে বোঝা যায় প্রকল্পের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা কোন খাতে, কত খরচ হয়েছে। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনো ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করা হয়নি।সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, কোন্টিজেন্সি ফান্ড থেকেও ৩৪০০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তার মধ্যে ১১৬৯ কোটি টাকা স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে খরচ করা হয়েছে। তবে কোনো খরচেরই বিল জমা দেওয়া হয়নি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, গ্রামীণ বিকাশ, নগর উন্নয়ন এবং শিক্ষা দপ্তরের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে এদিন তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও তুলেছেন। একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী বুধবার সকালে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বাংলার বকেয়া টাকার দাবি জানাতে যান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন প্রধানমন্ত্রী সুদীপকে বলেন, ক্যাগের রিপোর্ট পড়ে দেখতে। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই ক্যাগের রিপোর্ট সামনে এনেছেন সুকান্ত মজুমদার যার ফলে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পরেছে তৃণমূল।