আমাদের ভারত, ৩১ জানুয়ারি: জ্ঞানব্যাপী মসজিদ নিয়ে বড়সড় রায় দিলো বারানসী জেলা আদালত। এই রায়ে বড়সড় ধাক্কা খেল মুসলিম পক্ষ। হিন্দু পক্ষ আদালতের কাছে মসজিদের বেসমেন্টে পুজো করার অনুমতি চেয়েছিল। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। মসজিদের নিচে রয়েছে বেসমেন্ট। আদালত জেলা প্রশাসনকে ৭ দিনের মধ্যে সেখানে ব্যারিকেট সরিয়ে পুজো করার সমস্ত রকম ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছে। কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে সেখানে নিয়মিত পুজো হবে, হিন্দু পক্ষ এই রায়কে বড় জয় বলে অভিহিত করেছে। বহু বছর পর ন্যায়বিচার পাওয়া গেছে বলে দাবি তাদের।
জ্ঞানব্যাপী মসজিদের নীচে “ব্যাস কাতেহখানা” আছে যাকে বেসমেন্ট বলা হয়ে থাকে, সেটা এখন সিল করা আছে। সেখানে পুজো দিতে পারবেন হিন্দু ভক্তরা। বারানসী আদালতের তরফে জ্ঞানব্যাপী মামলার শুনানিতে বলা হয় জ্ঞানব্যাপী মসজিদের ওই অংশে পুজো করতে পারবে হিন্দুরা ভক্তদের। পুজো করার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টকে পুজোর জন্য এক পূজারীর নামও সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। আদালতের তরফে আগামী সাত দিনের মধ্যে ব্যারিকেড সরানো থেকে পুজোর স্থানে যাবতীয় ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি হিন্দু পক্ষে আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার রিপোর্ট তুলে ধরে দাবি করেন জ্ঞানব্যাপী মসজিদের নিচে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মন্দিরের কাঠামো পরিবর্তন করে তার উপর প্লাস্টার করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। জ্ঞানব্যাপী মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু মন্দিরের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ৩৪টি শিলালিপিও পাওয়া গেছে।
এরপর আজ জ্ঞানব্যাপী মসজিদের নিচে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দেন বিচারপতি কৃষ্ণমোহন পান্ডে। আজ তার কর্ম জীবনের শেষ দিন। বিচারপতি পান্ডে ১৯৮৩ সালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের তালা খোলা ও সেখানে পুজো করার অনুমতি দিয়েছিলেন।