আমাদের ভারত, ১ এপ্রিল: ওপারে প্রভু চিন্ময়, আর এপারে প্রভু হিরন্ময়। এই শিরোনামে মঙ্গলবার এক্সবার্তায় তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “বাংলাদেশের মতই পশ্চিমবঙ্গেও সনাতন ধর্মের মানুষের ধর্মাচরণের স্বাধীনতার অধিকার দিন কে দিন সঙ্কুচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ যেমন জেহাদিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে তেমনই পশ্চিমবঙ্গেও জেহাদিদের অবাধ আচরণের অনুমতি দিয়ে রেখেছেন মাননীয়া। তাই এদের দাপাদাপিতে হিন্দুরা ধর্মাচরণ, পুজো অর্চনা করতে বারংবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন, মন্দিরে/পুজোর প্যান্ডেলে হামলা হচ্ছে, হুমকির মুখে পড়ছেন আয়োজকরা, হিন্দুদের দোকানপাট, ঘরবাড়ি ভাঙ্গচুর হচ্ছে, লুঠপাট হচ্ছে, সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এবার নবতম সংযোজন হলো বাংলাদেশকে অনুকরণ করে পশ্চিমবঙ্গেও ধর্মগুরুদের আক্রমণ করা।
গতকাল রাত ১১টার সময় পূজনীয় হিরন্ময় গোস্বামী মহারাজের উপর হামলা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের ধরমপুর গ্রামে ভাগবত কথা হওয়ার পর প্রসাদ গ্রহণ করে উনি নিত্য দিনের মতো একটু বাইরে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দু’জন দুষ্কৃতি মহারাজের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে। গলায় দড়ি দিয়ে চেপে ধরে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ওনার জটা কেটে দেওয়া হয়। মহারাজ এখন ঘাটাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব পূজনীয় হিরন্ময় গোস্বামী মহারাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।
একপাশে ওপার বাংলায় বিনা অপরাধে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে চারমাস ধরে ইউনুস সরকার জেলের মধ্যে মিথ্যে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বন্দি করে রেখেছে, আর এপার বাংলায় সন্ন্যাসীদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা হচ্ছে।”