Sukanta, BJP, TMC, অবৈধ ভাবে রাজ্যে ঢুকে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা, পান ইমাম ভাতাও, ধৃত বাংলাদেশি, তৃণমূলের তোষণে পশ্চিমবঙ্গের বিপদ আসন্ন, সরব সুকান্ত

আমাদের ভারত, ১৮ মে: অবৈধভাবে বাংলাদেশ‌ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে চার বছর ধরে বসবাস করছেন এই রাজ্যে। এমনকি তিনি মাদ্রাসার শিক্ষকও হয়ে যান। তাকে ইমাম ভাতা পর্যন্ত দেয় রাজ্যের তৃণমূল সরকার। এমনই এক বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে বৃহস্পতিবার। তাকে বিএসএফ রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে এই ধরনের অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের পশ্চিমবঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। তাদের এই তোষণের নীতির ফলে রাজ্যের একাধিক জেলার জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে, যার ফলে পশ্চিমবঙ্গ আগামী দিনে বড় বিপদের মুখে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

এই রাজ্যের মাদ্রাসায় পড়াচ্ছেন, অথচ তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। অবৈধভাবে রাজ্যে প্রবেশ করে বহাল তবিয়তেই ছিলেন। এমনই এক মুসলিম শিক্ষকের গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আজ প্রমাণ হয়ে গেল। আমরা এতদিন ধরে এটাই বলে আসছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে এসে এখানে স্ট্যাবলিশ করছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দিনে চরম বিপদের সামনে পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ, যদি মানুষ খুব তাড়াতাড়ি না বোঝে। ভোট বাক্সে মানুষের সেই আক্রোশকে আনতে হবে, তবেই পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বদলাবে। না হলে পশ্চিমবঙ্গ আগামী দিনে বাঁচবে না। তাঁর দাবি, প্রচুর স্লিপার সেল বাংলাদেশি নাগরিক মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগণায় এসে বসে আছে এবং পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাসকে পরিবর্তন করছে। সিপিএমের আমলেও হতো, এখনও তাই হচ্ছে। ভারত বিরোধী শক্তি তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যবহার করছে। বিজেপি ও তৃণমূলের পার্থক্য হচ্ছে, ভোটের স্বার্থে তৃণমূল ভারত বিরোধী শক্তির হাতে ব্যবহৃত হচ্ছে, বিজেপতে তা কখনোই হয় না। বিজেপির কাছে দেশ আগে, তৃণমূলের কাছে ক্ষমতা আগে।

একই সঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিপোর্ট কার্ড, ব্যর্থতার এক বিপজ্জনক রেকর্ড।

মেখলিগঞ্জের বাগডোগরা, ফুলকাদাবরি এলাকার অর্জুন সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, বিএসএফ মোহাম্মদ সেলিমকে গ্রেপ্তার করে। বাংলাদেশের কক্সবাজারের বাসিন্দা, যিনি চার বছর আগে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে চুপচাপ মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় বসতি স্থাপন করেছিলেন। সেলিম অনায়াসে আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং একটি ব্যাঙ্ক পাসবুকের মতো ভারতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন, ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দেন এবং অবশেষে মকরমপুর দক্ষিণপাড়া মসজিদের ইমাম হন। শুধু তাই নয়, তিনি রাজ্য-সরকারের দেওয়া ইমাম ভাতাও অর্জন করেন। পশ্চিমবঙ্গের করদাতাদের কষ্টার্জিত অর্থের উপর পরিচালিত একটি প্রকল্প, যা চতুরতার সাথে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের “কল্যাণ” উদ্যোগ হিসাবে প্যাকেজ করা হয়েছিল। এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত রীতির অংশ। এই অনুপ্রবেশকারীরা কেবল সরকারি সুযোগ-সুবিধাই কাজে লাগায় না, বরং অবৈধভাবে ভোটাধিকার দাবি করে এবং প্রায়শই তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আনতে সাহায্য করে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য: পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার এলাকা এখনও বেড়াবিহীন, কারণ রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় জমি দিতে অস্বীকার করে, সবই তাদের ‘ভোট ব্যাঙ্ক’ রক্ষা করার জন্য। এই ফাঁকা গর্তটি অবাধ অবৈধ অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দেয়, অপরাধী এবং সম্ভাব্য জিহাদিদের দেশে প্রবেশ করতে দেয়, যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব থাকেন। এটি কেবল প্রশাসনিক অবহেলা নয়, এটি জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সীমানা লঙ্ঘন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *