পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৭ মে: লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলে ডুবে আন্ডারপাস। জলমগ্ন বালুরঘাট ব্লকের ক্ষীরপুর ও সৈয়দপুর এলাকা। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন কয়েকটি গ্রামের। চরম অসুবিধায় পড়ে রেল দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষীরপুর এলাকার ঘটনা। অসুস্থ রোগী ও প্রসূতি মহিলাদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, শহরে যেতে নাজেহাল অবস্থা এলাকার কৃষকদেরও। রেললাইন পেরিয়ে অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে সবজি ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষাকালে বৃষ্টির জল জমে আন্ডারপাস বন্ধ থাকায় প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে তাদের। বিষয়টি নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনও ফল পাননি তারা।
উল্লেখ্য, বালুরঘাট একলাখি রেল পরিষেবা চালুর পর প্রায় দু বছর আগে বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষীরপুর এবং সৈয়দপুর এলাকায় দুটি আন্ডারপাস তৈরি হয়। বর্তমানে সেই আন্ডারপাস দিয়ে মানুষজন সহ যানবাহন চলাচল করে। এতে রেল দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে বাসিন্দাদের সুবিধা হলেও বিপত্তি বেড়েছে বর্ষাকালে। বৃষ্টি হলেই জলে ডুবে থাকছে আন্ডারপাস। আর যার জেরে যাতায়াত করতে চরম সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দারা। এদিন দুপুরে ক্ষীরপুকুর এলাকায় আন্ডারপাসের সামনে রেলদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের শতাধিক মানুষ। তাদের দাবি, অবিলম্বে তাদের এই সমস্যার সুরাহা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাসিন্দারা।
গ্রামবাসী জীবন চন্দ্র সরকার ও তপি বর্মনরা জানিয়েছেন, আন্ডারপাসে জল জমে থাকার ফলে গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে শহরে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ সমস্যা না মিটলে গ্রামবাসীরা রেল অবরোধ করবে।
বালুরঘাট ব্লকের বিডিও অনুজ সিকদার জানিয়েছেন, ওই এলাকার আন্ডারপাসটি রেলদপ্তর করে থাকলে বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদে থাকতে হবে।