বিজেপি নেতাদের ভাইরাল হওয়া হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ পুরুলিয়া জেলা বিজেপি ও তৃণমূল

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৭ মে: পুরুলিয়া জেলা বিজেপি নেতা, বিধায়ক ও সাংসদের হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তোলপাড় হল পুরুলিয়ার রাজনৈতিক মহল। ভাইরাল হওয়া বিজেপি নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন অস্বীকার করে পদ্ম শিবির। বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। আজ জেলা পুলিশ সুপার না থাকায় অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার পিনাকি দত্তের সঙ্গে একটি প্রতিনিধি দল দেখা করেন এবং লিখিত অভিযোগ ও আবেদন রাখেন। ওই পত্রে দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়।

যসের সময় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে রাজ্য সরকারকে সমস্যায় ফেলে দেওয়ার জন্য ওই হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন দেখা গিয়েছে। সেখানে ত্রাণ শিবিরে আরও বেশি করে মানুষকে ঢুকিয়ে দেওয়ার কথা বলেন কথোপকথনে অংশ নেওয়া বিজেপি নেতারা। শিবিরে থাকা মানুষকে করোনা সংক্রমণের মুখে ফেলে দিয়ে রাজ্য সরকারকে সমস্যায় ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিন শট নিয়ে ফেসবুকে আপলোড করেন তৃণমূল এক যুব নেতা। “বিজেপির ছক ফাঁস হয়ে গেল। বিজেপির এই ষড়যন্ত্র অমানবিক” বলে সমালোচনা করেন তৃণমূল জেলা মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা তৃণমূল সভাপতি গুরুপদ টুডু। এদিন পুলিশ সুপারকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য লিখিত ভাবে অনুরোধ জানান তিনি।

এদিকে, হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি বলেন, “এই ভাবে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা করছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। পুলিশ যদি দ্রুত তদন্ত না করে সত্যতা জনসমক্ষে না প্রকাশ করে তাহলে সাংসদ সহ ৬ জন বিধায়ক এবং জেলা কার্যকর্তা করোনা বিধি মেনে আন্দোলন করব।” এদিন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন মিথ্যে। এই ধরনের কোনও গ্রুপ নেই। কথাও হয়নি। এটা যে মিথ্যে তার প্রমাণ সেখানে ভিডিও কলের অপশন দেখা যাচ্ছে, যা থাকে না। পুলিশকে তদন্তের জন্য বলেছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *