সাথী দাস, আমাদের ভারত, পুরুলিয়া, ২৭ সেপ্টেম্বর: শারদ উৎসবের আঙ্গিক তৈরি হয়েও তাল কাটলো লোকশিল্পীদের জেলা ভিত্তিক সম্মেলনে। লোক সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান পুরুলিয়ায় ৫০০ লোকশিল্পীকে নিয়ে জেলা ভিত্তিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এই উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। সেখানেই সরকার বিরোধী প্রচার না করার ফতোয়া দেন অতিথি হিসেবে উপস্থিত পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান নবেন্দু মাহালি। তিনি কড়া ভাষায় তাঁর বক্তব্যে সরকারি নথিভুক্ত লোক শিল্পীদের সতর্ক করেন। ২৮ সেপ্টেম্বর পুরুলিয়া শহরে স্থানীয় রবীন্দ্র ভবনে এক দিনের শিল্পী কর্মশালা হয়। জেলা তথ্য সাংস্কৃতিক দফতরের সহযোগিতায় লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে শাসক দলের পক্ষ থেকে এইভাবেই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
জেলায় এই মুহূর্তে ২১ হাজার ৯০০ নথিভুক্ত শিল্পী রয়েছেন। বিভিন্ন সময় তাঁরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাক পান। কোথাও সরকার বিরোধী সভা বা কোথাও বিরোধী দলের প্রচারে এই শিল্পীরা ডাক পেয়ে সেখানে যান। তাঁর বক্তব্য, সরকারি নথিভুক্ত শিল্পীদের সরকারের দেওয়া শিল্পী ভাতা নিয়ে বিরোধী দলের প্রচার বা সরকার বিরোধী অনুষ্ঠানে কেন তাঁদের দেখা যাবে? নব্যেন্দুবাবু আরও বলেন, “হয় সরকারি কার্ড, ভাতা জমা দিয়ে যেমন আগে ছিলেন তেমন থাকুন, না হলে সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিরুদ্ধাচারণ বন্ধ করুন।”
উপস্থিত শিল্পীদের মধ্যে এই নিয়ে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। জেলার প্রখ্যাত ঝুমুর শিল্পী শিশুপাল সহিস, মানভূম কালচারাল আকাডেমির সহ সভাপতি তথা লোক গবেষক সুভাষ রায় বলেন, নবেন্দু মাহালির বক্তব্যকে তাঁরা সমর্থন করেন না। এতে শিল্পী সত্ত্বার অধিকার কেড়ে নেওয়ার সামিল।
জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিক সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী বলেন, বক্তা নিজের বাক স্বাধীনতা থেকেই এই কথা বলে থাকতে পারেন। তবে সরকারি মঞ্চে এই কথা হয়তো বাঞ্ছনীয় নয়।