India, Pakistan, সাবধান করা হয়েছে বন্দরে, তৃতীয় দেশ ঘুরিয়ে ভারতে মাল পাঠাচ্ছে পাকিস্তান

আমাদের ভারত, ১৭ মে: কেন্দ্র সরকারের ডিরেক্টর অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স এবং কাস্টম বিভাগ সব সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তান তৃতীয় কোনো দেশে মালপত্র পাঠিয়ে সেখান থেকে মাল ভারতে পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সৌদি আরব থেকে আসা একটি জাহাজে এমন পণ্য পাওয়া গেছে বলে জানাগেছে।

২ মে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে ভারত। স্থল বন্দরগুলির মধ্যে একমাত্র পাঞ্জাবের আটারি সীমান্ত দিয়ে মালপত্র আনা নেওয়া হতো। সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাত্রী পারাপার চালু থাকলেও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণার পর সমুদ্র বন্দরগুলি নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে ভারত সরকার।

কেন্দ্রীয় সরকারের ডিরেক্টর অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স এবং কাস্টমস বিভাগ সব সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, পাকিস্তান তৃতীয় কোনো দেশে মালপত্র পাঠিয়ে সেখান থেকে তা ভারতে পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সৌদি আরব থেকে আসা একটি জাহাজে এমন পণ্য পাওয়া গেছে। এরপরই বন্দরগুলিকে সতর্ক করেছে ২ কেন্দ্রীয় সংস্থা।

২ মে থেকে বাণিজ্য বন্ধ করা হলেও আগে বুক করা সামগ্রী নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে। বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংস্থা সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে, ২ মে-র আগে বুক করা সামগ্রী আনা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক, নয়তো বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে ২ মে থেকে পাকিস্তানের জাহাজের ভারতের বন্দরে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। নোঙর করার মুখে বেশ কয়েকটি জাহাজ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতি বীমা কোম্পানির কাছ থেকে পেয়ে যাওয়ার কথা আমদানি- রপ্তানি এজেন্সির।

ডিরেক্টর অফ রেভিনিউ ইন্টালিজেন্স জানতে পেরেছে, পাকিস্তান, দুবাই, কলম্বো হয়ে ভারতে শুকনো ফল পাঠাতে চাইছে তারা। ঐসব শহরের ব্যবসায়ীদের কাছে মালপত্র পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেখান থেকে ভারতের আমদানিকারীদের কাছ থেকে তা আসার কথা বন্দর গুলিতে। বলা হয়েছে এই ধরনের পণ্য প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে।

বাণিজ্য বন্ধের এই সিদ্ধান্তে অবশ্য নতুন করে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। ২০১৯- এ পুলওয়ামায় আধা সেনার কনভয়ে পাক মদনপুষ্ট জঙ্গি হামলার পর থেকে ওই দেশের সঙ্গে বাণিজ্যে লাগাম টেনেছে নয়া দিল্লি। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছিল মাত্র ৪৩৭০ কোটি টাকা। ২০২২- ২৩ আর্থিক বছরে তা কমে হয় ২২৫৭ কোটি টাকা। এইটা ২৪ শে বেড়ে হয়েছিল ৩ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা। যা দুটি দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মোটেই বড় অঙ্ক নয়।

ভারত সরকারের ২ মে-র নির্দেশিকা অনুযায়ী বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের জাহাজ ও পণ্যবাহী ট্রাককে। ভারতের সীমান্ত পেরতে দেওয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *