Sukanta, BJP, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি! প্যালেস্তাইন নিয়ে মিছিল হলেও বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য চোখে জল আসে না, বামেদের, কটাক্ষ সুকান্তর

আমাদের ভারত, ৬ এপ্রিল: ধর্মনিরপেক্ষতার নামে আফিম খাওয়ানো হয়েছিল, ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি হয়েছে।বাংলাদেশের হিন্দুদের কথা বলা হয় না, অথচ প্যালেস্টাইনের জন্য মিছিল হয়। এভাবেই বামপন্থীদের আক্রমণ শানিয়েছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর নিশানা থেকে বাদ যায়নি রাজ্যের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যে হিন্দুত্বের লাইন ধরেই ময়দানে নামবে তা ইতিমধ্যেই বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতৃত্বের কথা, বক্তব্য ও গৃহীত কর্মসূচি থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। হিন্দু ভোটের পক্ষে সাওয়াল করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গেছে, “আমি হিন্দুদের বিধায়ক। হিসেব কষে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ঠিক কত শতাংশ ভোট দিলে বাংলায় ফের পরিবর্তন আসবে। আবার দিলীপ ঘোষ শুধু হিন্দুদের ভোটই চেয়েছেন। এই আবহে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা চলে না। তাই জ্যোতি বসু হোক, মাননীয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হোক, বা সৌগত রায় হোক তাদের ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলতে হলে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে এই ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রতিষ্ঠা করা বাংলায় ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলতে হয়।

উদাহরণ দিতে গিয়ে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ দাবি করেন, বাংলাদেশে সিপিএম পাঠিয়েছিল হাসিম আব্দুল হালিমকে। কিন্তু তিনিও থাকতে পারেননি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, হালিম সাহেব বহুদিন ছিলেন সেখানে, কিন্তু কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি।

বিজেপি সাংসদ বলেন, বাঙালিকে সেকুলারিজমের আফিম খাওয়ানো হয়েছিল দিনের পর দিন। তারা মুখ খুলতেন না। এগিয়ে আসতেন না। আজ বিজেপি এসে জাগানোর চেষ্টা করছে হিন্দুদের। সেই খোলোস ছেড়ে এবার তারা বেরিয়ে আসছে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি প্রশ্ন করেন, বামেরা প্যালেস্টাইন নিয়ে এত আন্দোলন করেন, অথচ বাংলাদেশের হিন্দুদের কথা বলেন না কেন? তিনি বলেন, কোথায় প্যালেস্টাইনে কী হয়েছে, কোথায় ভেনিজুয়েলায় মিছিল হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য এক বিন্দু চোখের জল ফেলা যাবে না, কারণ সাম্প্রদায়িকতা হবে। বুদ্ধবাবু জীবনে প্যালেস্টাইনে গিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই। প্যালেস্টাইনের জন্য একটা পার্টি ওদের পোশাক পরে শোক পালন করেছে, অথচ বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য শোক পালনের সময় নেই। একটিও মিছিল নেই কমিউনিস্টদের। এটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছি যে এটা সেকুলারিজম নয়। এটা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, ২৬- এর ভোটের আগে হিন্দু ভোট একাট্টা করতে, হিন্দুত্বের পথকে জোড়ালো ভাবে আঁকড়ে ধরছে পদ্ম শিবির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *