আমাদের ভারত, ২৪ ফেব্রুয়ারি: পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলই নয়া নয়া ভাবনায় নিবিড় জনসংযোগে মন দিয়েছে। ইতিমধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতিও নিজের এলাকার মানুষের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে পাড়ায় সুকান্ত কর্মসূচি পালন করেছেন, যা যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামের মানুষের উঠোনে পৌঁছে তাদের হাল হকিকতের খবর নিয়ে জনসংযোগের নিবিড়তা বাড়ানোয় মন দিল বিজেপি যুব মোর্চা। এই নয়া কর্মসূচির নাম গ্রাম সম্পর্ক অভিযান।
আজ বিকেলে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি থেকে তিনটি পর্যায়ে বিজেপির যুব মোর্চা গ্রাম সম্পর্ক অভিযান করতে চলেছে। এই কর্মসূচিতে যুব মোর্চার নেতা কর্মীরা গ্রামের সাধারণ মানুষের সাথে উঠোন বৈঠকে মিলিত হবে। এছাড়াও গ্রামের সমস্ত শহিদ পরিবারের সঙ্গে তারা দেখা করবেন। দেশের জন্য শহিদ কিংবা দলের ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে লড়াই করতে গিয়ে যারা শহিদ হয়েছেন সেই সব পরিবারের সঙ্গেও যুব মোর্চার নেতা কর্মীরা দেখা করবেন।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুব মোর্চার কর্মীরা গ্রামের মানুষের কথা শুনবেন। বিশেষত কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলি যেভাবে লুট হচ্ছে সে বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তারা জানবেন।
তবে এই কর্মসূচির অন্তর্গত আরো একটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে যার নাম অমৃত সন্ধ্যা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুব মোর্চার কর্মীরা গ্রামের বিশিষ্টজনের সঙ্গে দেখা করবেন কথা বলবেন।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই গোটা কর্মসূচির দিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরীক্ষার কথা মাথায় রাখা হয়েছে। তাই লাউডস্পিকার এক্ষেত্রে ব্যবহার হবে না। প্রথম পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ, তৃতীয় পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
এই জনসংযোগ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ১৮০টি বিধানসভা ও দলের ৩২টি সাংগঠনিক জেলায় পৌঁছবে বিজেপির যুব বাহিনী। সাধারণ মানুষ কি ভাবে নানা দুর্নীতির কারণে ভুগেছেন সে কথাগুলো শুনবেন যুবরা।
কেন এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “একটি বাড়ির তালিকা আমরা পেয়েছি। সেটা কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দক্ষিণ ২৪ পরগনার। সেখানে গৌরাঙ্গ অধিকারী যার পিতার নাম সুখময় অধিকারী তিনি একবার এসসি ক্যাটাগরিতে একটি বাড়ি পেয়েছেন। তিনিই আবার জেনারেল ক্যাটাগরিতে বাড়ির টাকা পেয়েছেন।” তার এই উদাহরণ থেকে আবারো স্পষ্ট হয়ে গেল বিজেপির ভোট প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার রাজ্যের শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়া।